এ বছরের ফুটবল বিশ্বকাপে শিরোপা প্রত্যাশী তালিকায় প্রথম দিকেই আছে আর্জেন্টিনা৷ দলটির কোচ আলেখান্দ্র সাবেলিয়ার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল এবারের বিশ্বকাপে তাঁর দলের পছন্দের পাঁচ খেলোয়ারের নাম৷ সেই তালিকাটিই পড়ে নিন এখানে৷
লিওনেল মেসি
২০০৬ সালের বিশ্বকাপে বয়সের কারণে অনেকটাই অনভিজ্ঞ ছিলেন মেসি৷ তাই হয়ত তাঁর নিজের সেরাটা দিতে পারেননি৷ কিন্তু চার বছর পরও ২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপে ভক্তদের হতাশ করেন মেসি৷ আট বছর পর বেশ অভিজ্ঞ বর্তমানের এই সেরা ফুটবলার৷ তাই ব্রাজিলের ভেন্যুকে সেরা মঞ্চে পরিণত করে নিজের সেরাটা উপহার দেয়া তাঁর পক্ষে সম্ভব৷ এছাড়া মেসির ক্ষমতায় যাঁদের সন্দেহ রয়েছে তাঁদের কড়া জবাব দেবার এটাই যে উপযুক্ত সময়!
২৬ বছর বয়সি বার্সেলোনার এই সেরা খেলোয়াড় এখন এমন একটা পর্যায়ে রয়েছেন যে, আর্জেন্টিনাকে দাবিয়ে রাখা অনেক দলের জন্য কষ্টকর হবে৷ তবে এটা স্বীকার করতেই হবে আর্জেন্টিনা যাঁদের প্রিয় দল নয়, তাঁরাও বিশ্বকাপে মেসির খেলা দেখার জন্য মুখিয়ে আছেন৷
এবার কি মেসি পারবেন আর্জেন্টিনার সমর্থকদের মন ভরাতে?
গনজালো হিগুয়াইন
রেয়াল মাদ্রিদ থেকে নাপোলিতে হস্তান্তরগনজালো হিগুয়াইনের জন্য যেন শাপে বর হয়েছে৷ যদিও মাদ্রিদে খেলার সময় সাত মৌসুমে ১২১টি গোল করেছেন তিনি৷ কিন্তু সেই দলে থাকাকালীন নিয়মিত খেলতে পারতেন না৷ তবে নাপোলিতে সেটা সম্ভব হয়েছে৷ সেখানে আক্রমণাত্মক খেলোয়াড় হিসেবে বরাবরই মাতিয়ে চলেছেন তিনি, সেই সাথে হয়ে উঠেছেন দলের সেরা স্কোরার৷
জাতীয় দলেও হিগুয়াইনের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ বিশ্বকাপে দক্ষিণ অ্যামেরিকার কোয়ালিফাইং রাউন্ডে ৯টি গোল নিয়ে তাঁর অবস্থান দ্বিতীয়৷ মেসি এবং উরুগুয়ে স্ট্রাইকার লুই সুয়ারেজ রয়েছেন প্রথম স্থানে৷ ২০১০ সালের বিশ্বকাপে চারটি গোল করে আর্জেন্টিনার শীর্ষ গোলদাতাও তিনি৷
সার্জিও রোমেরো
আর্জেন্টিনার তারকা খেলোয়াড়দের ভিড়ে হয়ত রোমেরোর নাম তেমন একটা চোখে পড়ে না৷ কিন্তু গোল রক্ষকের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে ২০১০ বিশ্বকাপ থেকে আজ পর্যন্ত দলের প্রথম পছন্দ রোমেরো৷ আর্জেন্টিনার ভক্তরা অবশ্য তাঁকে নিয়ে কিছুটা উদ্বিগ্ন৷ কারণ রোমেরো যে দলের হয়ে খেলেন, সেই ফরাসি ক্লাব মোনাকোতে নিয়মিত নন তিনি৷ তবে আর্জেন্টিনার কোচ জানান গোল রক্ষক পছন্দের ক্ষেত্রে তাঁর হাতে ভালো কোনো বিকল্প নেই৷
ফার্নান্দো গাগো
প্রতিভাধর মিডফিল্ডার হিসেবে গাগোর বেশ সুনাম রয়েছে৷ ২০০৬ সালে বোকা জুনিয়রস থেকে ২৭ মিলিয়ন ডলারে এ কারণেই হয়ত তাঁকে কিনে নিয়েছিল রেয়াল মাদ্রিদ৷ পাঁচ বছর পরে অবশ্য তিনি রেয়াল ছেড়ে দেন৷ তবে এবারের বিশ্বকাপে তাঁর ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করেন কোচ৷
সার্জিও অ্যাগুয়েরো
২০০৩ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে আর্জেন্টিনা দলে যোগ দিয়েছিলেন অ্যাগুয়েরো৷ এরপর আর তাঁকে ফিরে তাকাতে হয়নি৷ ২০০৮ সালে অলিম্পিকে আর্জেন্টিনাকে স্বর্ণ এনেছিলেন তিনি৷ এছাড়া ২০১০ সালে ইউরোপা লিগে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের জয় এবং ২০১২ সালে প্রিমিয়ার লিগে ম্যানচেস্টার সিটির জয়ে তাঁর ভূমিকাই ছিল মুখ্য৷ বিশ্বকাপে দ্রুত গতি এবং শক্তিশালী এই খেলোয়াড়ের দিকেও চোখ থাকবে পুরো বিশ্বের ফুটবল ভক্তদের৷
এপিবি/ডিজি (এপি, এএফপি)