আগামীকাল থেকে ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে টোয়েন্টি-২০ বিশ্বকাপের ষষ্ঠ আসর। এবারের টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর খেলোয়াড়দের মধ্যে যে পাঁচজনের ওপর সকলের দৃষ্টি থাকবে তারা হচ্ছেন ক্রিস গেইল, বিরাট কোহলি, মোহাম্মদ আমির, এবি ডি ভিলিয়ার্স ও বেন স্টোকস।
ক্রিস গেইল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) :
টি-২০ ক্রিকেটের অন্যতম বিশাল ব্যক্তিত্ব হিসেবে প্রথমেই যার কথা মনে পড়ে তিনি হচ্ছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের মারমুখি ব্যাটসম্যান ক্রিস গেইল। কিন্তু সবসময়ই খেলার বাইরের বিতর্কিত জীবন যাপনই তাকে বেশি আলোচনায় এনেছে। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ান বিগ ব্যাশ লীগে একজন অস্ট্রেলিয়ান মহিলা রিপোর্টারের সাথে অশোভন কথা বলায় এই জ্যামাইকানের ৭ হাজার ডলার জরিমানা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তিনি প্রায়ই সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন। জানুয়ারিতে মেলবোর্ন রেনেগেডসের হয়ে মাত্র ১২ বলে ৫০ হাঁকিয়ে টি২০ ইতিহাসে দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরির মালিক হয়েছেন।
বিরাট কোহলি (ভারত) :
আগামী ১৫ মার্চ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ভারত যখন বিশ্বকাপ মিশন শুরু করবে তখন পুরো লাইমলাইটই থাকবে দলের সহ-অধিনায়ক ও দূর্দান্ত ফর্মে থাকা বিরাট কোহলির ওপর। স্বাগতিক হিসেবে প্রথমবারের মত টি-২০ বিশ্বকাপের শিরোপা জয়ের স্বপ্নে সবাই তাকিয়ে থাকবে কোহলির দিকেই। ২৭ বছর বয়সী আগ্রাসী এই ব্যাটসম্যানের আত্মবিশ্বাস অনেক সময়ই দলকে ম্যাচজয়ী ইনিংস উপহার দিয়েছে। সম্প্রতি শেষ হওয়া এশিয়া কাপেও নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে দলকে শিরোপা উপহার দিয়েছেন। তার অপরাজিত ৪১ রানের ওপর ভর করেই এশিয়া কাপের ফাইনালে বাংলাদেশকে হারিয়ে শিরোপা জয় করে ভারত।
মোহাম্মদ আমির (পাকিস্তান) :
স্পট ফিক্সিংয়ে পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞার শাস্তি কাটিয়ে প্রথমবারের মত কোনো আইসিসি ইভেন্টে ফিরতে যাচ্ছেন পাকিস্তানী বাঁহাতি পেসার মোহাম্মদ আমির। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দূর্দান্ত পারফরমেন্সের কারণেই বিশ্বকাপে তিনি দলের অপরিহার্য সদস্যে পরিণত হয়েছেন। ২৩ বছর বয়সী এই তরুণকে ইতোমধ্যেই বিশ্বের সবচেয়ে প্রতিশ্রুতিশীল পেসার হিসেবে মানা হচ্ছে। যদিও ভারতের মাটিতে ভারতীয় ক্রিকেট সমর্থকদের কতটা সামলে উঠতে পারেন আমির সেটাই এখন দেখার বিষয়।
এবি ডি ভিলিয়ার্স (দক্ষিণ আফ্রিকা) :
‘সুপারম্যান’ নামে খ্যাত সব ধরনের ফর্মেটে বিধ্বংসী এই ব্যাটসম্যান এবি ডি ভিলিয়ার্স ভারতের মাটিতে আইপিএল এ নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছেন। ৫০ ওভারের একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে মাত্র ১৬ বলে দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরি, ৩১ বলে দ্রুততম সেঞ্চুরি, ৬৪ বলে দ্রুততম ১৫০ রানের মালিক ডি ভিলিয়ার্স একাই। ফেব্রুয়ারিতে জোহানেসবার্গে মাত্র ২১ বলে টি২০তে দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছিলেন। একইসাথে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২৯ বলে তার করা ম্যাচজয়ী ৭১ রানের ইনিংসে সিরিজ জয়ও নিশ্চিত হয়েছিল।
বেন স্টোকস (ইংল্যান্ড) :
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১৬৩ বলে ডাবল সেঞ্চুরি করে টেস্টে দ্বিতীয় দ্রুততম ইনিংস উপহার দেন অল রাউন্ডার বেন স্টোকস। আর সে কারণেই ইংল্যান্ডের নতুন ইয়ান বোথাম হিসেবেও খেতাব পেয়ে গেছেন। বিদেশের মাটিতে কোন টেস্টে বোথামের প্রায় ৩০ বছর পরে কোন ইংলিশ খেলোয়াড় হিসেবে ৩৫০ রানের বেশী ও ১২ উইকেট নেয়ার রেকর্ডও গড়েছেন স্টোকস।