জাতীয় দলের ক্রিকেটার রুবেল হোসেন বিশ্বকাপ স্কোয়াডে থাকায় খুশি হতে পারেননি তার সাবেক প্রেমিকা নায়িকা নাজনিন আক্তার হ্যাপি। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে হ্যাপি বলেন, ‘আমাকে যে ঠকিয়েছে তার জন্য নিশ্চয় বড় শাস্তি অপেক্ষা করছে।’
হ্যাপি আরো বলেন, ‘রুবেল দলে থাকায় এই মুহূর্তে আমি মোটেও খুশি নই। তার জন্য আখেরি রাস্তা অপেক্ষা করছে। আমি ন্যায় বিচার পাব। চোখের পানি ধরে রাখতে পারছি না। আমার খুব কান্না পাচ্ছে।’
রোববার বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বিশ্বকাপ স্কোয়াড ঘোষণার পরপরই নাজনিন আক্তার হ্যাপি এক প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন।
গত ১৩ ডিসেম্বর নাজনিন আক্তার হ্যাপি মিরপুর থানায় গিয়ে ক্রিকেটার রুবেল হোসেনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ৯/১ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। অভিযোগ করেন, নয় মাস ধরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সঙ্গে শারীরিক মেলামেশা করেছেন রুবেল।
হ্যাপির মামলার পরের দিন ১৪ ডিসেম্বর পুলিশ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগে তার শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করান। এরই মধ্যে ১৫ ডিসেম্বর রুবেল হাইকোর্ট থেকে চার সপ্তাহের আগাম জামিন পান। ১১ দিন পর গত ২৪ ডিসেম্বর দুপুরে পুলিশের হাতে ফরেনসিক প্রতিবেদনের কপি তুলে দেন ফরেনসিক বিভাগের প্রধান অ্ধ্যাপক হাবীবুজ্জামান চৌধুরী।
ফরেনসিক প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মাসুদ পারভেজ ছুটিতে থাকায় ওইদিন প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়নি। তবে মিরপুর থানার ওসি তদন্ত মামলার নোটটি সাংবাদিকদের পড়ে শোনান। সেই নোটে লেখা ছিল, ‘দ্য ভিকটিম হ্যাজ নো ফাউন্ড রিসেন্টলি সেক্সচুয়াল ইন্টারকোর্স অন হার বডি।’
গত ২৮ ডিসেম্বর এসআই মাসুদ পারভেজ ছুটি শেষে থানায় যোগদান শেষে পূর্ণাঙ্গ ফরেনসিক রিপোর্ট প্রকাশ করেন। ওই রিপোর্টে হ্যাপির একাধিক শারীরিক সম্পর্কের কথা লেখা ছিল না। একজনের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে যা ফরেনসিক প্রতিবেদনের প্রথম পৃষ্টায় লেখা রয়েছে। তবে কার সঙ্গে হয়েছে তা লেখা ছিল না।
এরই মধ্যে হ্যাপির করা আবেদনের প্রেক্ষিতে রুবেলের জব্দ করা আলামতগুলোর ক্যামিক্যাল পরীক্ষার আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।