মায়ান্তি ল্যাঙ্গার ইতিমধ্যেই বাচালতা কিংবা বেফাঁস কথাবার্তার কারণে ক্রিকেটাঙ্গনে এক পরিচিত মুখ। ৩০ বছর বয়স্ক ভারতীয় নাগরিক মায়ান্তি ক্রীড়া সাংবাদিক বা উপস্থাপিকা হিসেবে পরিচিতি বাড়ানোর জন্য বারংবার বিতর্কিত কথা বার্তা বলে মিডিয়ার আলোচনায় থাকার এক ঘৃণ্য পন্থা বেছে নিয়েছেন! ২৪শে ফেব্রুয়ারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ-জিম্বাবুয়ে ম্যাচ শুরুর প্রাক্কালে শেন ওয়ার্ন, ইয়ান বিশপ, ও শন পোলকের ন্যায় কিংবদন্তী ক্রিকেটারদের সাথে ক্রিকেটীয় আলোচনায় অংশ নিয়ে যাচ্ছেতাই সব মন্তব্য ছুঁড়ে দিচ্ছিলেন ভারতের অখ্যাত ক্রিকেটার স্টুয়ার্ট বিনির পত্নী মায়ান্তি, যিনি শুধুমাত্র কোটা পদ্ধতির কারণেই সুযোগ পেয়েছেন বিশ্বকাপের মতো ইভেন্টে ক্রিকেট নিয়ে আলোচনা করার। যেখানে আমাদের দেশের স্বনামধন্য সাবেক ক্রিকেটার এবং কমেন্ট্রেটর আতাহার আলির মতো ব্যক্তিত্ব অনুপস্থিত সেখানে শুধুই ভারতের ক্রিকেটের বিশাল বাজারের কারণেই মায়ান্তির মতো অজ্ঞদের স্বপ্নমঞ্চে মাইক হাতে ক্রিকেট নিয়ে কথা বলার সুযোগ পাওয়া!
সেদিনের আলোচনায় বাংলাদেশ, জিম্বাবুয়ে, আয়ারল্যান্ড এবং আফগানিস্তানকে মায়ান্তি বেশ কয়েকবার ‘মিনোস’ বা ‘ছোট দল বলে আখ্যায়িত করেন! কিন্তু তার সাথে আলোচনায় অংশ নেয়া ক্রিকেটাররা এই ধরণের ফালতু শব্দ ব্যবহারের ব্যপারে অনাগ্রহী ছিলেন। আলোচনার একটি পর্যায়ে বিরক্ত হয়ে ইয়ান বিশপ বলতে বাধ্য হন “মায়ান্তি, মিনোস বলবেন না- বলুন ‘সহযোগী দেশ’। একপর্যায়ে মায়ান্তির বারংবার একই শব্দ ব্যবহারে বিরক্তিকর অভিব্যক্তি ফুটে উঠে বিশপসহ অন্যান্যদের চোখে মুখে। ইয়ান বিশপরা জানেন, পারফর্মেন্স যেমনই হোক না কেন, একটা টেস্ট খেলুড়ে দেশকে কোটি কোটি দর্শকের সামনে বারবার ‘মিনোস’ বলে সম্বোধন করাটা চূড়ান্ত পর্যায়ের অভদ্রতা এবং অসভ্যতার পর্যায়ে পড়ে। ‘সহযোগী দেশ’। যেখানে আপত্তিকর শব্দটি যায়না সহযোগী দেশগুলোর সাথে সেখানে বাংলাদেশ আর জিম্বাবুয়ের নাম স্বাভাবিকভাবে এই তালিকা থেকে বাতিল করে দেন উপস্থিত ক্রিকেট বিশ্লেষকরা।
পুরো বাংলাদেশ ফেসবুকে প্রতিবাদে ফেটে পড়ে মুহূর্তের মধ্যে।