বিশ্বসেরা ফাস্ট বোলারদের সঙ্গে পেরে ওঠার মত কোন বোলার ভারতীয় ক্রিকেটে আবির্ভূত হয়নি কখনও। কপিল দেবের পর সেরা পেসার হিসেবে যদি কাউকে স্মরণ করা হয়, তিনি জহির খান। তবুও বাংলাদেশের পেসের সামনে নাকানি-চুবানি খেতে হয়েছে তাদেরকে। এক মুস্তাফিজুর রহমানের যে দুঃখ সেটা ভুলবে কি করে ধোনি অ্যান্ড কোং। বরং, তরুনদের আইকন হিসেবেই মুস্তাফিজকে ভাবতে শুরু করেছে ভারতসহ বিশ্ব ক্রিকেট।
সে কারণেই, অস্ট্রেলিয়ার সফরের জন্য ভারতীয় দলে নতুন ঠাঁই পাওয়া বারিন্দর স্রানের মধ্যেই নাকি মুস্তাফিজের ছায়া খুঁজে পেয়েছে ক্রিকেটের মোড়ল দেশটি। অস্ট্রেলিয়া সিরিজ উপলক্ষ্যে ভারতীয় ক্রিকেট দল ঘোষিত হওয়ার পরই তোলপাড় পড়ে যায়। ভারতের জি নিউজ বিশেষ রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল, বারিন্দর স্রানই কি ভারতের মুস্তাফিজ!
দু’জনই বাঁ হাতি। উঠে এসেছেন অজ পাড়া গাঁ থেকে। বোলিংও করেন নাকি একই স্টাইলে। এ কারণেই ভারতের মুস্তাফিজ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। তবে, ভারতের মুস্তাফিজের অভিষেকটা আসল মুস্তাফিজের মতো হলো না। জেতাতে পারলেন না তিনি তার দলকে। ৩০৯ রানের বিশাল স্কোর করেও বারিন্দর স্রানরা পারলেন না সেটাকে রক্ষা করতে।
জর্জ বেইলি আর স্টিভেন স্মিথের জোড়া সেঞ্চুরির সুবাধে হারতে হয়েছে ৫ উইকেটের বড় ব্যবধানে। ভারতের ‘মুস্তাফিজ’ বারিন্দর স্রান বল করেছেন ৯.২ ওভার। রান দিয়েছেন ৫৬টি। গড় ৬ করে। উইকেট নিয়েছেন ৩টি। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে সেরা; কিন্তু তার এই পারফরম্যান্স মোটেও মনে রাখার মত নয়।
বাংলাদেশের আসল মুস্তাফিজ অভিষেকেই তুলে নিয়েছিলেন ৫ উইকেট। হারিয়েছেন ভারতের মত শক্তিশালি একটি দলকে। ভারতের ‘মুস্তাফিজ’ অ্যারোন ফিঞ্চ, ডেভিড ওয়ার্নার আর স্টিভেন স্মিথের উইকেট নিলেও খেলায় মোটেও প্রভাব ফেলতে পারেনি। যদিও, অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের শুরুতে ২১ রানের মধ্যে ওয়ার্নার আর ফিঞ্চের উইকেট তুলে নিয়ে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন তিনি। তখনই হয়তো সবাই ভেবেছিল, সত্যিকারার্থেই একজনকে পেয়ে গেছে ভারত। কিন্তু, সেই ধারণা পরে ভূল প্রমাণ করেন স্মিথ আর বেইলি।
আর মুস্তাফিজ বলতেই মাথার মধ্যে চলে আসে কাটার। মুস্তাফিজ তার কাটার দিয়েই সবার থেকে আলাদা। কিন্তু ভারতের বারিন্দর স্রানের কাছ থেকে এই ধরনের স্পেশাল কোন ডেলিভারি আপাতত দেখতে পাওয়া যায়নি। এখন দেখার বিষয়, ভারতের মুস্তাফিজ পরের ম্যাচগুলোতে কেমন পারফরম্যান্স করতে পারেন।