ক্রিকেটার মুস্তাফিজের সাফল্যে গর্বিত বাংলাদেশ। তারই ধারাবাহীকতায় ক্রিকেট উন্মাদনায় যখন সারাদেশ ঠিক তখনই একটি চক্র উঠে পড়ে লেগেছে তাদের অসাধু উদ্দেশ্য পুরণের চেষ্টায়। ভারত-বাংলাদেশ সিরিজে সাফল্য অর্জিত ১৯ বছর বয়সী মোস্তাফিজকে বিয়ের প্রস্তাব এমন শিরোনামে প্রকাশিত হয় একটি খবর। যার কোন ভিত্তি নেই। খবরটির শিরোনাম ছিলো ‘কে এই মেয়ে যিনি মোস্তাফিসকে বিয়ে করতে চান’ । বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকা খবরটি খুব গুরুত্বের সাথে প্রচার করে।
খবরটিতে বলা হয় সিলেটের মেয়ে উম্মে কুলসুম ক্রিকেটার মোস্তফিজকে বিয়ে করতে চান। উম্মে কুলসুম সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যলয়ের ছাত্রী বলেও উল্যেখ করা হয়। কিন্ত ছবি দেয়া হয় অন্য আরেক জনের। ঢাকার একটি প্রইভেট ইউনির্ভাসিটির (B.B.A) ছাত্রী মৌরী মারর্জীয়া পারভিনের ছবি। যা দেখে আকাশ থেকে পড়লেন মৌরী।
প্রতমবার্তার অনুসন্ধানী টিমের সাতে কথা হয় মৌরীর এবং আমন্ত্রন জানানো হয় তাকে প্রথমবার্তার অফিসে তাতে সায় দিয়ে মৌরী প্রথমবার্তা অফিসে তার একটি সাক্ষাৎ দেন। নিম্নে মৌরী মার্জীয়া পারভিনের বক্তব্য তুলে ধরা হল।
সম্প্রতি কিছু মিডিয়ায় আমার ছবি দিয়ে একটি খবর প্রকাশিত হয় যা আমার দৃষ্টি গোছর হয়েছে। খবরটিতে বলা হয় আমি নাকি মো্স্তাফিজকে বিয়ে করতে চাই। কিন্তু এমন কোন ঘটনার সাথে আমি জড়িত নই। উপরুন্ত মোস্তাফিজ আমার বয়সে অনেক ছোট। ফেসবুক থেকে আমার ছবি সংগ্রহ করে তা প্রকাশ করা হয়েছে বলেও দাবি করেন মৌরী।
তিনি বলেন, ঘটনাটির দরুণ আমি সামাজিক ভাবে অপমান বোধ করছি। আমার কাছে অনেকে এ বিষয়ে জান্তে চাওয়ায় আমি আরো বেশী লজ্জিত হই। আমাকে সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপণ্য করার জন্যে উদ্দেশ্য প্রণদিত ভাবে এমন ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে। এমন ঘটনার দরুণ বিভিন্ন রকমের বিরক্তি ও বিভ্রান্তির সম্মুখিন হতে হচ্ছ আমাকে। আমি ঘটনাটির তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
আমি প্রকাশিত ঘটনার সাথে জাড়িত নই। এবং ভবিষ্যতে এহেন ঘটনার পুণরাবৃত্তিতে আইন-আনুগ ব্যবস্থা গ্রহণে বধ্য হব। মিডয়ার প্রতি আমার অনুরোধ আপনারা সত্যতার ভিত্তিতে নিউজ প্রকাশ করবেন।
আমি সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই যেন সাইবার ক্রাইম বন্ধে আইনের কার্যকরী প্রয়োগ করা হয়।