ম্যারাডোনা ও মেসির দেশ: আর্জেন্টিনা

0
maradona-messi-100609ঢাকা: বত্রিশটা দেশ, ৬৪টি ম্যাচ। ফুটবল মহাযুদ্ধে কোন দল কোথায় দাঁড়িয়ে? ব্রাজিল কী পারবে ঘরের মাঠের ‘বিশ্বকাপ কুফা’ কাটাতে? না কি লিওনেল মেসি তার হারিয়ে যাওয়া পায়ের জাদু পুনরুদ্ধার করে কিংবদন্তি হওয়ার পথে হাঁটবেন? কিংবা এমনো হতে পারে এবার ‘বারমুডা ট্রায়াঙ্গাল’-এ রূপান্তর হওয়া লাতিন আমেরিকা রহস্যের জট খুলবে ইউরোপ? বিশ্বকাপ দলগুলোকে নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদনে আজ থাকছে আর্জেন্টিনার খুঁটিনাটি-
জনসংখ্যা: ৪১.৯ মিলিয়ন।
জাতীয় খাবার: আসাডো, এটা বারবিকিউ ধরনের এক প্রকার মাংসের ডিস।
জাতীয় সংগীত: হিমনো নাচিনাল আর্জেন্টিনা।
বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ সাফল্য: ১৯৭৮ এবং ১৯৮৬ সালের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন।
কোচ: আলেসান্দ্রো সাবেলা। এই ফুটবল মস্তিস্ক খেলোয়াড়ি জীবনে আক্রমণাত্মক মিডফিল্ডার হিসেবে ইংল্যান্ডের শেফিল্ড শিল্ড ও লিডসে দুই বছর কাটিয়েছেন। এরপর কোচিং জীবনে বিভিন্ন জায়গায় ড্যানিয়েল প্যাসারেলার অধীনে সহকারী কোচের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। সাবেলা দিয়াগো ম্যারাডোনার হাত থেকে ২০১১ সালে আর্জেন্টিনার কোচিংয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
অধিনায়ক: টানা চারবারের ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলার লিওনেল মেসির কাধে এবার আর্জেন্টিনার অধিনায়কত্বের আর্মব্যান্ড থাকছে। অতীতে বার্সেলোনার হয়ে বিশ্বকে মোহিত করলেও আর্জেন্টিনার হয়ে ঔজ্জল্য ছড়াতে পারেননি তিনি। তবে পরিস্থিতি এখন পাল্টেছে। এবার লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে দলকে সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিয়েছেন মেসি। এখন দেখার বিষয় বিশ্বকাপে কী করেন ফুটবলের ক্ষুদে যাদুকর?
সবচেয়ে বড় তারকা: অবশ্যই লিওনেল মেসি। তার বিষয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। ফুটবলের খোঁজ-খবর রাখা সব ব্যক্তিরাই জানেন মাঠে কী করতে পারেন বার্সেলোনার প্রাণভোমরা। তবে গেল মৌসুমে ফর্মটা ভালো যায়নি মেসির। টানা চার ইনজুরির ধকল কাটিয়ে মেসি মাঠে ফিরলেও তার মান অনুযায়ী খেলতে পারেননি তিনি। ফলে এই মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগ ও স্প্যানিশ লা লিগায় ব্যর্থ হয়েছে মেসির বার্সা। কিন্তু বিশ্বকাপ শুরুর আগে মেসি বারবার বলছেন ব্রাজিলে অবস্থা বদলাবে। আর মারকানার ফাইনালে মাঠে নামবে আর্জেন্টিনা। সত্যিই কি আর্জেন্টিনা তা পারবে?
যাদের দিকে নজর রাখতে হবে: সার্জিও আগুয়েরো, গনজালো হিগুয়েন, অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া ও হাভিয়ের মাসচেরানো।
কৌশল: মেসিকে কেন্দ্র করে খেলাকে বিস্তৃত করা। যাতে মেসিতেই ব্যস্ত হয়ে পড়ে প্রতিপক্ষ। এই সুযোগে অন্যান্যরা দলকে সাফল্য এনে দেবেন।
কোথায় এগিয়ে: বিশ্বসেরা ফরোয়ার্ড লাইন আর্জেন্টিনার ভরসার জায়গা। যেখানে মেসি ছাড়াও থাকবেন আগুয়েরো, হিগুয়েন ও লাভেজ্জির মতো পোড়-খাওয়া অভিজ্ঞ তারকারা।
দুর্বলতা: মানসিক ভাবে অনেক দুর্বল এই দলটি। ইউরোপের জমাট রক্ষণে বারবার নুয়ে পড়ে দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন এই দলটি। বিশেষত যখন হুট করে দুটি-একটি গোল হজম করে বসে তারা। তাছাড়া নিজেদের আলগা রক্ষণ নিয়ে বারবার ভাবতে হয় আকাশী-সাদা জার্সিধারীদের।
Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More