অপেক্ষাটা বুঝি ফুরোলো। হতে পারে বাংলাদেশ থেকে কয়েক হাজার কিলোমিটার দূরে এ আসর। তারপরো বিশ্বকাপ বলে কথা! সে উন্মাদনায় সাড়া দিতে তাই প্রস্তুত এ দেশের কোটি ফুটবলপ্রেমী।
রাজধানীর গুরুত্বপূর্ন স্থান ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে এরমধ্যেই বসানো হয়েছে বড় পর্দা। ফুটবল বিশ্বকাপকে বরণ করতে প্রস্তুত নগরবাসী।
প্রিয় দলকে সমর্থন দিতে এভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছে ঢাকা কলেজের আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা। সাত সাগর তেরো নদীর ওপারে হবে বিশ্বকাপের উদ্বোধন.তাতে কি! বিশ্বকাপে অংশগ্রহন করতে না পারার যে আক্ষেপ, উদযাপন দিয়ে তার ষোলো আনা পুষিয়ে নিতে প্রস্তুত এদেশের ফুটবলপ্রেমীরা।
একজন বলেন, ‘খেলা দেখার জন্য আমাদের নতুন টেলিভিশন দেওয়া হয়েছে। আগে ছিল ৩২ ইঞ্চি এখন আমরা ৪৮ ইঞ্চিতে খেলা দেখবো।’ আর একজন বলেন, ‘আজ আমরা একটা গরু কিনেছি। রাতে সকলে মিলে একসঙ্গে খাওয়া দাওয়া করবো।’
এদিকে মোহাম্মদপুরের ফুটবল প্রেমীরা বড় পর্দায় খেলা দেখতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন শহীদ পার্ক মাঠে। সেখানেও বরাবরের মতো সমর্থকরা বিভক্ত ল্যাতিন আমেরিকার দেশ আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল দলে।
একজন বলেন, ‘আমরা এখানে একসঙ্গে খেলা দেখার জন্য বড় পর্দার ব্যবস্থা করছি।’ তবে তারুণ্যের উন্মাদনায় সব উৎসব উদযাপনের রংটা একটু ভিন্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। আর বিশ্বকাপের উন্মাদনাতো পুরো ক্যাম্পাস জুড়েই। একজন বলেন, ‘আমরা এখানে মাঠে বসে খেলা দেখার মতো আনন্দ পেতে মাঠেই বড় পর্দার ব্যবস্থা করছি।’
হাজার মাইল দুরের খেলা তরঙ্গবাহিত হয়ে ধরা দেবে এদেশের বোকা বাক্সে। তাই টিএসসিতে চলছে বড় পর্দায় খেলা দেখার আয়োজন। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ঘড়ির কাটা রাত ১২টায় পৌছানোর সাথে সাথেই পুরো বিশ্ব একসাথে মেতে উঠবে গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ উৎসবে।
সময়নিউজ.টিভি