জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে জয় পেলেও হাসিমুখে মাঠ ছাড়তে পারেনি বাংলাদেশ। প্রথমে ব্যাটিংয়ে চোট পেয়েছেন মুশফিকুর রহিম। পরে বোলিংয়ের সময়ও মাঠ ছেড়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান। এর মাঝে মুশফিককে দুই-তিন সপ্তাহের জন্য বিশ্রামে পাঠানো হতে পারে। মুস্তাফিজের চোটের ধরন সম্পর্কে এখনো বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।
বাংলাদেশ ইনিংসের ১৬তম ওভারের শেষ বলে দ্রুত দুই রান নিতে গিয়েই বিপত্তিটা বাঁধিয়েছেন মুশফিক। পেশিতে টান পড়ায় তখনই মাঠ ছাড়েন তিনি। আগামীকাল স্ক্যান করে বোঝা যাবে চোট কতটা গুরুতর। তবে এরই মধ্যে শেষ দুই টি-টোয়েন্টির দল থেকে তাঁকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। দুই সপ্তাহের বিশ্রামেও থাকছেন তিনি। অধিনায়ক মাশরাফি মুর্তজা অবশ্য আশা করছেন গুরুতর কিছু না হওয়ার, ‘ওর ব্যাপারে এখনো আমি নিশ্চিত নই, স্ক্যান করার পর বোঝা যাবে। তবে এই মুহূর্তে অবশ্যই আমাদের চিন্তার বিষয় এটি। আমি আশা করছি ও খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যাবে। মুশফিক আমাদের খুব গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়, এই জন্যই ওকে বের করে আনা হয়েছে। তবে আমি এতটুকু নিশ্চিত যে ইনজুরিটা এত সিরিয়াস না।’
মুস্তাফিজের ক্ষেত্রে এ ধরনের শঙ্কা এখনো সৃষ্টি হয়নি। তবে চোট পাওয়ার আগেই তাঁকে বিশ্রামে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন নির্বাচকেরা। আজ বোলিংয়ের সময় বাঁ কাঁধে হালকা ব্যথা অনুভূত হওয়ায় শেষ বলটা না করেই বেরিয়ে গেছেন এই পেসার। তবে নামটা মুস্তাফিজ বলেই সমর্থকদের মধ্যে বাড়তি দুশ্চিন্তা আছে।
মাশরাফিও জানালেন, ‘ওর আসলে পুরোনো সমস্যা ছিল, কাঁধ ও হাত দুই জায়গাতেই। আশা করি ওর চোটও তেমন গুরুতর কিছু নয়। এ জন্যই একটা বল বাকি থাকলেও ওকে দিয়ে বল করানোর ঝুঁকি নেওয়া হয়নি। আশা করি ইনজুরিগুলো অত বড় কিছু না, ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু এই মুহূর্তে অবশ্যই চিন্তার। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসা শুরু করতে হবে।’
জাতীয় দলের ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ জানিয়েছেন, মুশফিক যে চোট পেয়েছেন এসব ক্ষেত্রে কমপক্ষে দুই থেকে তিন সপ্তাহ বিশ্রাম নিতে হয়। শেষ দুই টি-টোয়েন্টি দলের জন্য ঘোষিত দলে মুশফিক থাকলেও পরে তাঁর পরিবর্তে তাসকিন আহমেদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এর আগে চোটের কারণে তাসকিনও ছিটকে গিয়েছিলেন দলের বাইরে। দক্ষিণ আফ্রিকা জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে খেলা হয়নি।
এর মধ্যে ফিট হয়ে ফেরা তাসকিন সুযোগ পেয়ে গেলেন হুট করে। যে আল আমিনের ফর্মে ফেরার কারণে একাদশে জায়গা পাওয়া কঠিন হয়ে গেছে তাঁর জন্য, সেই আল আমিনকেও শেষ দুই ম্যাচে রাখা হয়েছেন বিশ্রামে। ফলে তাসকিনের সুযোগ আছে একাদশেও জায়গা করে নেওয়ার।