ঢাকা: বিশ্বকাপ জয়ের সুযোগটা হাতছাড়া হয়ে গেছে। অর্জন বলতে গোল্ডেন বলটা জয় ও রানার্সআপ হয়ে ফেরা। তবে সেই অর্জন মেসির হৃদয়ের রক্তক্ষরণটা একটুও কমাতে সক্ষম না। বিষাদে ভরা সন্ধ্যায় তার হয়ত সেই একটি গোলের সুযোগ হেলায় হারানোর কথাই বেশি করে মনে পড়বে। ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে ব্যর্থতার কারণ হিসেবেও স্ট্রাইকারদের গোল করার সুযোগ মিস করাকেই দায়ী করলেন তিনি।
‘আমরা অনেকদিন ধরেই সেমিফাইনালে খেলতে পারিনি। এবং এবার আমরা ফাইনাল খেলেছি। এবং আসরা গর্ব করার মতই খেলেছি এই ম্যাচে।’ রানার্সআপ হওয়ার পর মেসি পরাজয়ের ভিতরে শান্ত্বনা খুঁজলেন এভাবেই। তবে তারপরই তার কণ্ঠে কণ্ঠে হতাশা ফুটে উঠলো, ‘ কিন্তু আমরা আরও বেশি কিছু পেতেই পারতাম। স্ট্রাইকাররা এদিন অনেক সুযোগ হাতছাড়া করেছে। এটা কষ্টের যে আমরা আমাদের দেশের মানুষের জন্য ট্রফি নিয়ে ফিরতে পারলাম না। এতটা কাছে এসে হারাটা সত্যি কষ্টের। আমাদের জন্য এটা ছিল একটা বড় সুযোগ বিশ্বকাপ জয় করার। কিন্তু সেই সুযোগটা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছি আমরা।’
প্রথমার্ধে গোলের সুযোগ মিস করেছেন গঞ্জালো হিগুয়েন। দ্বিতীয়ার্ধে সুযোগ এসেছিল মেসিরও। কিন্তু তার নেয়া শটটা জালের বাইরেই আশ্রয় খুঁজে নিয়েছে। তারপর অতিরিক্ত সময়ে প্যালাসিওর মিসটাও কাঁটা হয়ে বিধছে আর্জেন্টিনার ভক্তদের হৃদয়ে। মেসিও সেই সুযোগ হাতছাড়া করাকেই হারের কারণ হিসেবে দায়ী করলেন। অবশ্য আরেকটি কারণও উল্ল্যেখ করলেন তিনি। তা হল সেমিফাইনালের একদিন বেশি পাওয়া।
তিনি বলেন, ‘সেমিফাইনালে অতিরিক্ত সময়ের শেষ পর্যন্ত খেলতে হয়েছে আমাদের। আর সেই ম্যাচের পর আমরা একদিন সময় কম পেয়েছি। আর এই পর্যায়ে এক দিন অনেক কিছু।’
সবশেষে তিনি গোল্ডেন বল জয় করার বিষয়ে বলেন, ‘এমন দিনে গোল্ডেন বল জয় করাটা খুব ছোট অর্জন।’ তাই হয়ত গোল্ডেন বল জয়ের আন্দটা তিনি উপভোগ করতে পারবেন না। বরং পরাজয়ের বিষণ্ন স্মৃতিই সঙ্গী হবে তার বাড়ি ফেরার।