স্বপ্ন পূরণের ক্ষণ গণনা শুরু

0

wt20-introখেলা ডেস্কঃ শুরু হলো ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টি ২০১৪, বাংলাদেশের ক্ষণ গণনা। যার মাধ্যমে পূরণ হলো বাংলাদেশের এককভাবে বিশ্বকাপ আয়োজনের সুখ-স্বপ্ন। যা পুরোপুরি পূর্ণতা পাবে আগামী বছরের ১৬ মার্চ। যখন শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস করতে নামবেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে, ঠিক শূন্য ঘণ্টায় শুরু হলো ১০০ দিনের বিশ্বকাপের ক্ষণ গণনা।

আতশবাজির চোখ ধাঁধাঁনো আলোর খেলা আর হাজারো ক্রিকেটপ্রেমীর উপস্থিতিতে ক্ষণ গণনার শুরুর সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। উপস্থিত ছিলেন জাতীয় দলের সহঅধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপনও।

বৃহস্পতিবার রাতে ‘কাউন্টডাউনের’ অনুষ্ঠানটি হয় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায়। অনুষ্ঠানের ঘোষণা আগেই দিয়েছিলো বিসিবি। ফলে রাত ১২টা বাজার অনেকক্ষণ আগে থেকেই জমতে শুরু করে ক্রিকেটপ্রেমীদের ভীড়।

ঐতিহাসিক মুহুর্তের স্বাক্ষী হতে রাজধানীর নানা প্রান্ত থেকে ছুটে আসা ক্রিকেট ভক্তদের আসাটা মহামূল্যবান হয়েছে বোর্ড প্রেসিডেন্টের সংক্ষিপ্ত অথচ চিত্তাকর্ষক বক্তব্যে।

১২টা বাজার দশ মিনিট আগে স্টেজে আসা নাজমুল হাসান পাপন বলেন, “অসাধারণ অনুভূতি হচ্ছে। এককভাবে বিশ্বকাপের মতো আসর আয়োজনের ইচ্ছা পূরণ হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের। সারা দেশের মানুষের মতো আমিও আনন্দিত। আশা করি বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশর ক্রিকেট প্রেম আরো একবার তুলে ধরতে পারবো আমরা।”

বোর্ড প্রেসিডেন্টের কথার প্রতি পূর্ণ সমর্থন দেওয়া দর্শকরা কড়তালিতে মুখরিত করে তুলেন রাতের ঢাকা। ক্রিকেট প্রেমের নতুন ধাপের প্রকাশ তারা ছোট পরিসরে করে দিয়েছেন সংসদ ভবনের সামনেই! এতে আরো আনন্দিত হওয়ার মতো কথা বলার প্রেরণা পেয়েছেন বোর্ড প্রেসিডেন্টও। জানিয়েছেন নতুন ইতিহাসের কথা। প্রেসিডেন্ট তার বক্তব্যে বলেন, “আইসিসি’র ইতিহাসের প্রথমবার টিকিট ছাড়ার দিন দুয়েকের মধ্যেই সব শেষ হয়েছে! বাংলদেশ যে ‘ক্রিকেট-ক্রেজি’ জাতি, আইসিসি তা টের পেয়েছে ভালোভাবেই।”

প্রেসিডেন্ট আরো বলেন, “ভারতের পরে বাংলাদেশই ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় সমর্থক। আমাদের দর্শকরাই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ দর্শক। আমাদের স্টেডিয়ামে যদি ধারণক্ষমতা থাকতো, তবে ভারতও আমাদের ধারেকাছে আসতে পারতো না।”

নিজের বক্তব্যে দারুন এক সুখবর দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট। ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টির প্রথম ধাপের টিকিট বিক্রি হয়ে গেলেও চিন্তার কিছু নেই। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারীতে ছাড়া হবে দ্বিতীয় ধাপের টিকিটও।

প্রেসিডেন্টের বক্তব্যের পরই স্টেজে উঠেন সাকিব ও রিয়াদ। তাদের সাথে ছিলেন বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট অধিনায়ক সালমা খাতুনও। দেশের এই তারকারা স্টেজে থাকা অবস্থায়-ই আসে সে মাহেন্দ্রক্ষণ- শূন্যের ঘণ্টা। সাথে সাথেই ঢাকার আকাশ আলোকিত করে শুরু হয় চোখ ধাঁধাঁনো আলোর খেলা। হাজার কয়েক দর্শক মুগ্ধ হয়ে দেখেন স্বপ্ন পূরণের ক্ষণ গণনার মুহুর্ত আরো কতো বেশি স্বপ্নময় হয়।

বিশ্বকাপের ক্ষণ গণনার অনুষ্ঠান হয়েছে সিলেট ও চট্টগ্রামেও। বর্ণাঢ্য আয়োজনে বিশ্বকাপের এ দুই ভেণ্যু শহরও উদযাপন করেছে ক্ষণ গণনার স্মরণীয় মুহুর্ত।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More