হার দিয়ে শেষ বিশ্বকাপ

0

australia2-311x186নাহ, হলো না। সুপার টেনে খেলার তৃপ্তি নিয়েই ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টি শেষ করতে হলো মুশফিকদের। শেষ যে ম্যাচটি ঘিরে একটু আশা ছিলো, সেটিও শেষ হয়েছে সাত উইকেটের হারে। সুপার টেন থেকে শূণ্য হাতেই ফিরলো বাংলাদেশ। পক্ষান্তরে ফেবারিটের তকমা জড়িয়ে আসা অস্ট্রেলিয়া ফিরতে পারলো একটি জয় নিয়ে।

শেষ ম্যাচটিতে টস জিতে আগে ব্যাটিং করেছিলো বাংলাদেশ। তাতে সাকিবের হাফ সেঞ্চুরি এবং মুশফিকের ৪৭ রান ভর করে উঠেছিলো ১৫৩ রান। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এ রান নিয়ে লড়াই করাও কঠিন। হলোও তাই। সহজেই জিতে গেছে অস্ট্রেলিয়া। তাদের জয়ের ভিতটা গড়ে দিয়েছেন দুই ওপেনার।

১১ ওভার এক বলের ওপেনিং জুটিতে ডেভিড ওয়ার্নার ও অ্যারন ফিঞ্চ তুলেছিলেন ৯৮ রান। ওই জুটিতে মূলত নিশ্চিত হয়ে যায় ম্যাচের ভাগ্য। ১২ তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ওয়ার্নারকে ফেরান আল আমিন। কিন্তু ম্যাচে ওই উইকেটের কোনো প্রভাবই পড়েনি। পরে আল আমিন আরো একটি উইকেট নিয়ে কেবল ব্যক্তিগত অর্জনই বাড়িয়েছেন।

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এ ম্যাচে অভিষেক হওয়া বাংলাদেশি তরুণ তাসকিন আহমেদ দারুণ বোলিং করেছেন। চার ওভারে ২৪ রান দিয়ে একটি উইকেটও নিয়েছেন তিনি। ১৭তম ওভারের দ্বিতীয় বলে অসাধারণ এক ডেলিভারিতে সরাসরি বোল্ড করে ফিরিয়েছেন ম্যাক্সওয়েলকে।

এর আগে মাত্র ১২ রানের মধ্যেই দুই ওপেনারকে হারানোর পরও ১৫৩ রান করে বাংলাদেশ। এতে মূল অবদান ছিলো সাকিব ও মুশফিকের। তৃতীয় উইকেটে এ দুজন ১১২ রানের জুটি গড়েন।

সব মিলিয়ে বাংলাদেশের জন্য এক দুঃসহ বিশ্বকাপই গেলো এটি। প্রথম রাউন্ডের দুটি ম্যাচে জয় ছাড়া আর কিছুই করতে পারেনি বাংলাদেশ। উল্টো হারতে হয়েছে হংকংয়ের মতো প্রতিপক্ষের কাছেও। তারপরও কিছুটা আশা ছিলো, তাও মাটি হয়েছে সুপার টেনে। নূন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বীতাও গড়তে পারেননি মুশফিকরা। বিষাদের হারেই শেষ হলো বাংলাদেশের ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টি অভিযান।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More