[ads1]১০ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করাকে বিবেচনা করা হয় ক্রিকেটবিশ্বের অন্যতম গৌরবজনক অর্জন হিসেবে। এখন পর্যন্ত মাত্র ১৬ জন ব্যাটসম্যান কোনো না কোনো ফরম্যাটে পূর্ণ করতে পেরেছেন ১০ হাজার রান। অভিজাত এই ক্লাবের সদস্য হতে পেরেছেন শুধু শচীন টেন্ডুলকার, কুমার সাঙ্গাকারা, রিকি পন্টিং, ব্রায়ান লারাদের মতো কিংবদন্তি ব্যাটসম্যানরা। একদিন তাঁদের পাশে নিজের নামটাও লেখাতে চান তামিম ইকবাল। ক্রিকেটের যেকোনো ফরম্যাটে ১০ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করার লক্ষ্য সামনে রেখেই এগিয়ে যাচ্ছেন বাংলাদেশের এই ওপেনার।বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যান ১০ হাজার রান পূর্ণ করবেন, কথাটি কয়েক বছর আগে শুনলেও অকল্পনীয় মনে হতো। কিন্তু তামিম যেভাবে খেলে যাচ্ছেন তাতে তাঁর লক্ষ্যটি খুব বেশি বাস্তব বলেই মনে হচ্ছে। টেস্টে না পারলেও ওয়ানডেতে সত্যিই ১০ হাজার রান পূর্ণ করতে পারেন বাংলাদেশের এই ওপেনার। তামিম নিজেও ঠিক তেমনটাই ভাবছেন। সম্প্রতি ক্রিকইনফোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘আমি আরো ছয় বছর খেলতে চাই। কোনো না কোনো ফরম্যাটে করতে চাই ১০ হাজার রান। টেস্টে সেটা অসম্ভব বলেই মনে হচ্ছে। কিন্তু আমি যদি আরো ১৫০টি ওয়ানডে খুব ভালোমতো খেলতে পারি, তাহলে সেটা সত্যিই সম্ভব।’২০০৭ সালে অভিষেকের পর এখন পর্যন্ত তামিম খেলেছেন ১৫৩টি ওয়ানডে। ছয়টি শতকসহ ৩১.৬৩ গড়ে করেছেন ৪,৭১৩ রান। ২৭ বছর বয়সী এই ওপেনার যে এখন অনেক পরিণত, সেটাও অস্বীকার করার উপায় নেই। ফলে সত্যিই আরো দেড়শটি ওয়ানডে খেলার সুযোগ পেলে তামিম পূর্ণও করে ফেলতে পারেন ১০ হাজার রানের মাইলফলক। ওয়ানডে ক্রিকেটে এখন পর্যন্ত যে কৃতিত্ব অর্জন করতে পেরেছেন মাত্র ১১ জন ব্যাটসম্যান।টেস্টে অবশ্য সত্যিই অনেক পিছিয়ে আছেন তামিম। বাংলাদেশও খুব বেশি টেস্ট খেলার সুযোগ পায় না বলে নিজের পরিসংখ্যানটা সমৃদ্ধ করারও খুব বেশি সুযোগ থাকে না তামিমের। এখন পর্যন্ত ৪২টি টেস্ট খেলে তিনি করতে পেরেছেন ৩,১১৮ রান। শতক করেছেন সাতটি। বাংলাদেশের পক্ষে তিন ধরনের ফরম্যাটেই সবচেয়ে বেশি রান করার রেকর্ড বর্তমানে আছে তামিমের দখলে।ওয়ানডেতে ৪,৭১৩ ও টেস্টে ৩,১১৮ রানের পাশাপাশি ৫২টি টি-টোয়েন্টি খেলে তামিম করেছেন ১,১৫৪ রান।[ads2]