 ইংরেজিতে একটি কথা আছে, ‘বেটার লেট, দ্যান নেভার’৷ ভালো কাজ একেবারে না হয়ে, একটু দেরিতে হওয়াও ভালো৷ এই যুক্তিতে প্রশংসা করাই যায় ফিনিশ অ্যামেচার অ্যাথলেটিক অ্যাসোসিয়েশন (এসইউএল)-কে৷ পৃথিবীর কত জায়গায় কত মানুষই তো কত রকমের অন্যায় করে ক্ষমা না চেয়ে উল্টো সগর্বে বুক ফুলিয়ে ঘোরে, এসইউএল তো তবু ক্ষমা চেয়েছে!
ইংরেজিতে একটি কথা আছে, ‘বেটার লেট, দ্যান নেভার’৷ ভালো কাজ একেবারে না হয়ে, একটু দেরিতে হওয়াও ভালো৷ এই যুক্তিতে প্রশংসা করাই যায় ফিনিশ অ্যামেচার অ্যাথলেটিক অ্যাসোসিয়েশন (এসইউএল)-কে৷ পৃথিবীর কত জায়গায় কত মানুষই তো কত রকমের অন্যায় করে ক্ষমা না চেয়ে উল্টো সগর্বে বুক ফুলিয়ে ঘোরে, এসইউএল তো তবু ক্ষমা চেয়েছে!
ফিনল্যান্ডে অলিম্পিক হয়েছিল ১৯৫২ সালে৷ তবে হেলসিঙ্কি অলিম্পিক স্টেডিয়ামের উদ্বোধন হয়েছিল ১৯৩৮ সালে৷ উদ্বোধন উপলক্ষ্যে আয়োজিত প্রতিযোগিতাতেই ঘটেছিল ঘটনাটা৷ ১০০ মিটার স্প্রিন্টে প্রথম হয়েছিলেন আব্রাহাম টোকাজিয়ের৷ কিন্তু বিচারকরা বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করেন আরে সাবোলানিয়েন-কে৷ আব্রাহাম টোকাজিয়ের ছিলেন ইহুদি৷ বিচারকদের বিবেচনায় তিনি হলেন চতুর্থ৷ ৭৫ বছর পর সেই ঘটনা আবার উঠে এসেছিল ফিনল্যান্ডের সংবাদ মাধ্যমে৷ এক ইহুদি ক্রীড়াবিদের প্রতি যে বড় রকমের অন্যায় হয়েছিল তা একটা ছবি ছেপে দেখিয়ে দেয়া হয়৷ সমালোচনার ঝড় ওঠে৷ সমালোচনাকে আমলে নিয়ে অবশেষে ক্ষমা চেয়েছে এসইউএল৷ এসইউএল-এর চেয়ারম্যান ভেসা হামাকর্পি এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘‘ফলাফলে যে কোনোরকমের কারচুপিই দুঃখজনক৷ তা খেলাধুলার মৌলিক চেতনার বিরুদ্ধে যায়৷ তাই ওই ঘটনায় যাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাঁদের কাছে আমি এসইউএল-এর পক্ষ থেকে ক্ষমা চাচ্ছি৷”
১৯৩৮ সালের ওই দিনে বিচারকদের ছবি দেখে সিদ্ধান্ত নেয়ার সুযোগ ছিল না৷ এমন পরিস্থিতিতে বড় বড় অনেক ভুলই এখন ক্রীড়া ইতিহাসের অংশ৷ ১৯৮৬ সালের ফুটবল বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হাত দিয়ে গোল করেছিলেন ডিয়েগো মারাদোনা৷ সেই ম্যাচ জিতে শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপও জিতেছিল আর্জেন্টিনা৷ এমন ভুল আরো আছে ক্রীড়া ইতিহাসে৷ ফিনিশ অ্যামেচার অ্যাথলেটিক অ্যাসোসিয়েশনের এত আগের ভুলের জন্য ক্ষমা চাওয়া সেই ইতিহাসে এক উজ্জ্বল ব্যাতিক্রম৷
 
			