[ads1]কোমর ব্যথা খুব সাধারণ একটি সমস্যা। নারী পুরুষ উভয়ই এই সমস্যায় ভুগে থাকেন। প্রথম দিকে এই ব্যথা সহ্য ক্ষমতার মধ্যে থাকলেও আস্তে আস্তে এটি বৃদ্ধি পেতে থাকে।
বিভিন্ন কারণে কোমর ব্যথা হয়ে থাকে। এর মধ্যে অন্যতম কিছু কারণ হল ওজন বৃদ্ধি, ভারী বস্তু তোলা, কোমরে ব্যথা পাওয়া, অনেকক্ষণ বসে বা দাঁড়িয়ে কাজ করলে, নিয়মিত গাড়ি চালানো, গর্ভধারণের সময়, মাসিকের সময়, হঠাৎ কোন কারণে হাড় অথবা মাংসে টান পড়লে ইত্যাদি। কোমর ব্যথা দেখা দিলে সাধারণত পেইন কিলার খেয়ে থাকেন।
পেইন কিলার এই সমস্যার দীর্ঘস্থায়ী সমাধান দেয় না। ঘরোয়া উপায়ে এই কোমর ব্যথা দূর করা সম্ভব। আসুন জেনে নেওয়া যাক উপায়গুলো।
১। বরফের সেঁক
বরফ সাময়িকভাবে ব্যথা এবং ফোলা কমিয়ে দেয়। একটি তোয়ালেতে কিছু বরফের টুকরো পেঁচিয়ে ব্যথার স্থানে ২০ মিনিট রাখুন। এছাড়া আইস ব্যাগে দিয়ে কোমরে সেঁক দিতে পারেন। ৪৮ ঘন্টা পর একটি তোয়ালে গরম পানিতে ভিজিয়ে সেটি ব্যথার স্থানে রাখুন। এটি রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে ব্যথা কমিয়ে দেয়। এটি ২০ মিনিট রাখুন। এই পদ্ধতি কয়েকবার করুন।[ads2]
২। বিশ্রামের পরিমাণ কমিয়ে দিন
অতিরিক্ত বেড রেস্ট কোমর ব্যথার কারণ হতে পারে। আপনি যদি দীর্ঘক্ষণ শুয়ে থাকেন তবে কোমর ব্যথা হতে পারে। কোমর ব্যথার সময় বিছানা থেকে উঠে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করুন।
৩। বসার ভঙ্গি পরিবর্তন
চেয়ারে বসার ভঙ্গির কারণে অনেক সময় কোমরে ব্যথা হয়ে থাকে। প্রথমে কোমর, তারপর বুক এবং সবশেষে কাঁধ ও ঘাড় সোজা করে বসুন। এই ভঙ্গিটিতে সহজ এবং আরামদায়কভাবে বসার চেষ্টা করুন। এইভাবে অফিসে কাজ, পড়া, হাঁটার অভ্যাস করুন।
৪। ব্যায়াম করুন
পায়ের পিছনের পেশী হ্যামস্ট্রিংসে টান পড়লে অনেক সময় কোমর ব্যথা হয়ে থাকে। আবার হ্যামস্ট্রিং খুব বেশি টাইট থাকলেও কোমরে ব্যথা হতে পারে। নিয়মিত হ্যামস্ট্রিং ব্যায়াম কোমর ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা কমিয়ে দেয় অনেকখানি। সম্ভব দিনে দুইবার হ্যামস্ট্রিং ব্যায়াম করুন।
৫। ব্যথানাশক ওষুধ ব্যবহার
পেইনকিলার খাওয়ার চেয়ে ব্যথানাশক ক্রিম অথবা মলম ম্যাসাজ করা বেশ কার্যকর। কোমর ব্যথায় ব্যথানাশক ক্রিম অথবা স্প্রে ব্যবহার করুন। এটি দ্রুত ব্যথা হ্রাস করে দেবে।[ads1]