পরীক্ষায় অকৃতকার্য৷ প্রেমে ব্যর্থ৷ বাড়িতে বাবা-মায়ের সঙ্গে ঝগড়া৷ সংসারে আর্থিক অনটন৷ আর তাতেই কখনও পাখায় দড়ি ঝুলিয়ে কিংবা বহুতল থেকে ঝাঁপ দিয়ে বা মেট্রোতে আত্মহত্যার ঘটনা আজকাল আখছারই ঘটছে৷ জেট-গতির যুগে প্রাত্যহিক ইঁদুর দৌড়ের খেলায় সামান্য পিছিয়ে পড়তেই হতাশায় আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন নামী স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী কিংবা দরিদ্র কৃষক৷ আত্মহত্যার এই রোজনামচা কি কোনওভাবেই এতটুকু কমানো যায় না? কোনও কি উপায় নেই আত্মহত্যার ঝুঁকি কমানোর?
দিনে মাত্র দুই থেকে চার কাপ কফি৷ ব্যস! তাহলেই মুশকিল আসান৷ আত্মহত্যার প্রবণতা কমে হয়ে যাবে অর্ধেক৷ কমবে আত্মহত্যার সংখ্যাও৷ এমনটাই যে জানাচ্ছেন হার্ভার্ড স্কুল অফ পাবলিক হেলথ-এর গবেষকমশাইরা৷ কমপক্ষে দু’লক্ষ মানুষের উপর গবেষণার পরই এইসিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন গবেষকরা৷
কফির মধ্যেকার ‘ক্যাফেইন’ নামক রাসায়নিক যৌগটি নাকি মানুষের স্নায়ুতন্ত্রকে সাময়িকভাবে হলেও চনমনে করে তোলে৷ একইসঙ্গে শরীর ও মনের মধ্যে খেলে যায় ভাল লাগা ও ভাল থাকার আবেশও৷ এর জেরেই মানুষের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা কম হবে বলে গবেষকদের অভিমত৷ প্রবণতা কমলেই, হ্রাস পাবে আত্মহত্যার সংখ্যাও৷ এবার থেকে যখনই মনে হতাশার কালো মেঘ ঘনিয়ে আসবে, তখনই তুফান তুলুন ‘কফি মগে’৷
এম এস