খাদ্যে ভেজাল, আবহাওয়ার দূষণ আর নানা কারণে প্রতিনিয়তই আমরা কোন না কোন রোগে আক্রান্ত হচ্ছি। আর সে কারণে ডাক্তারের শরনাপন্ন তো হতেই হয়। কিন্তু ডাক্তারের লিখে দেয়া ওষুধ খেয়েও অনেক সময় ফলাফল পেতে দেরী হয় বা পাওয়া যায় না। হয়তো এর জন্যে ডাক্তার নন, আপনিই দায়ী।
তাই জেনে নিন ওষুধ কেনার সময় যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখতেই হবেঃ
১। মেয়াদকাল দেখে নিনঃ
ওষুধের প্যাকেটের গায়ে মেয়াদকাল দেখে নিন। মেয়াদোত্তীর্ণ বা মেয়াদ শেষ হবার আর কয়েক মাস বা সপ্তাহ বাকী এ ধরনের ওষুধ কেনা থেকে বিরত থাকুন।
২। প্রেসকিপশন অনুযায়ী কিনুন, দোকানির কথায় বিভ্রান্ত হবেন নাঃ
প্রেসকিপশনে যে ওষুধের নাম ডাক্তার লিখে দিয়েছেন, ঠিক সেই ওষুধটিই কিনুন। অনেক সময় দোকানী নতুন বা নিম্নমানের কোন কোম্পানির ওষুধ কমিশনের লোভে আপনাকে ধরিয়ে দিতে পারে। এক্ষেত্রে বিভ্রান্ত হবেন না।
৩। ইচ্ছেমতন ভিটামিন নয়ঃ
অনেকেই শরীর দূর্বল লাগলেই নিজে থেকে ভিটামিন কিনে খেয়ে থাকেন। এটি ভুলেও করবেন না। শারিরীক দূর্বলতার অন্য অনেক কারণ থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ওষুধটি খেতে হবে।
৪। একটু কম করে কিনুনঃ
ডাক্তার যদি আপনাকে তিন মাসের ওষুধ খেতে বলেন এবং এক মাসের ভেতর আবারো দেখা করতে বলেন, সেক্ষেত্রে এক মাসের ওষুধই কিনুন। কারণ, এরপর হয়তো ডাক্তার কোন কোন ওষুধ বদলে দিতে পারেন।
এছাড়াও পেইনকিলার বা স্যালাইন জাতীয় যে ওষুধগুলো সচরাচরই প্রয়োজন হয় সেগুলো একগাদা কিনে বাসায় রেখে দেবেন না। কয়েকটি কিনে রাখুন। নয়তো মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে যেতে পারে।
৫। দাম যাচাই করুনঃ
ওষুধের প্যাকেটের গায়ে দাম লেখাই থাকে। তাই দোকানীকে দাম পরিশোধ করার আগে যাচাই করে নিন।
৬। সংরক্ষণ পদ্ধতি দেখে নিনঃ
কোন কোন ওষুধ ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে হয় কেননা সূর্যের তাপমাত্রা এগুলোর কার্যকারিতা কমে আসে বা নষ্ট হয়ে যায়। তাই কেনার সময় দেখুন ওষুধটি কি অবস্থায় সংরক্ষিত ছিল।
৭। ছেঁড়া, খোলা বা ফুটোযুক্ত প্যাকেট নয়ঃ
কেনার সময় খেয়াল করুন ওষুধের প্যাকেট বা পাতাটি ছেড়া, ফুটোযুক্ত বা খোলা কিনা। এ ধরনের কিছু হলে কিনবেন না।
৮। ব্যবহারবিধি জেনে নিনঃ
প্রেসকিপশনে ওষুধের ব্যবহারবিধি লেখাই থাকে। তবুও আরেকবার দোকানীর কাছ থেকেও নিশ্চিত হয়ে নিন কখন, কয়বার, খাবার আগে না পরে ওষুধটি খাবেন।
৯। শুধুই ডাক্তারের পরামর্শে ওষুধ কিনুনঃ
শুধুই ডাক্তারের পরামর্শে ওষুধ কিনুন। পরিচিত, একই রোগের রোগী বা ফার্মেসির কম্পাউন্ডারের পরামর্শে কখনোই ওষুধ কিনবেন না। এতে হিতে বিপরীত হবার সম্ভাবনাই বেশী। একটু সচেতন থাকলেই আমরা এড়াতে পারি নানা অনাকাংখিত স্বাস্থ্য ঝুঁকি। তাই সচেতন হোন, সুথ থাকুন।