ঔষধী গাছ আর মধু সেবনে ডায়াবেটিকস রোগ স্থায়ীভাবে ভালো হয়। “আসুন আমরা ঔষধী গাছ চিনে নেব এবং আবাদ করবো, নিজের চিকিৎসা নিজে করবো- ডায়াবেটিকস মুক্ত জীবন গড়ব” এই শ্লোগান নিয়ে টাঙ্গাইল পৌর এলাকার কাগমারী কলেজ মোড়ের বাসিন্দা আব্দুল সামাদ মিয়ার ছেলে মো. মাসুদ মিয়ার দীর্ঘদিন যাবত ডায়াবেটিকস রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। তার চিকিৎসা সেবা নিয়ে অনেক ডায়াবেটিকস রোগী ভাল হয়েছে বলে জানা গেছে।
মো. মাসুদ মিয়া ঔষধী গাছ-গাছরার উপর গবেষনা করে ২০০৬ সালের শুরুর দিকে ডায়াবেটিকস স্থায়ীভাবে নিয়ন্ত্রণ, চিকিৎসা পদ্ধতি বের করেন। পরে তার আবিস্কৃত ডায়াবেটিকস ঔষধ খেয়ে আশপাশের কয়েকজন রোগী স্থায়ীভাবে সুফল লাভ করেন। এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার পর ডায়াবেটিকস রোগীরা দুরদুরান্ত থেকে এসে প্রতিদিন মাসুদ মিয়ার চিকিৎসা সেবা গ্রহন করে আসছে। মাসুদ মিয়ার ঔষধ খেয়ে ইনসুলিন নেয়া অনেক রোগীদের আর ইনসুলিন নিতে হয় না। ডায়াবেটিকস্ স্থায়ীভাবে নিয়ন্ত্রণে চলে আসায় ঐ রোগীরা আগের মতো মিষ্টিসহ সব খাবার নিয়মিত খাওয়ার পরও আর ডায়াবেটিকস বেড়ে উঠেনি।
টাঙ্গাইল পৌর এলাকার বেপারী পাড়ার আব্দুল আজিজ মিয়ার ছেলে (ডায়াবেটিকস রোগী) সাইদুল ইসলাম জানান, আমি দীর্ঘদিন যাবত ডাইবেটিস রোগে ভুগতে ছিলাম। পরে মাসুদ মিয়ার কাছে গাছ-গাছরার চিকিৎসা সেবা নিয়ে ভাল হয়েছি।
বেড়াবুচনা ভালুককান্দি গ্রামের ফজল মিয়ার স্ত্রী তারাবানু জানান, তিনি ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন চিকিৎসা গ্রহন করেও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারছিলেন না। পরে মাসুদ মিয়া গাছ-গাছরার চিকিৎসা সেবা নিয়ে ডায়াবেটিস স্থায়ীভাবে নিয়ন্ত্রনে এনেছেন। বর্তমানে তিনি ভাল আছেন। এমন আরো ১০/১৫ জন রোগীর সাথে কথা বলে এমনই তথ্য পাওয়া গেছে।
এ দিকে গবেষক মাসুদ মিয়া জানান, গাছ-গাছরার চিকিৎসা সেবা নিয়ে ৭/৮ বছরের ইনসুলিন নেয়া যে কোন ডায়াবেটিকস রোগী স্থায়ীভাবে ভাল হতে পারবেন। আর তাই গাছ-গাছরা সংগ্রহ করতে অনেক কষ্ট হয়। এই সকল ঔষধী গাছ-গাছরার বাগান গড়ে তুলতে পারলে অনেক মানুষের চিকিৎসা সেবা দেয়া সম্ভব। তাই তিনি সরকার ও দেশের মানুষের কাছে ঔষধী গাছের নার্সারী করতে সহযোগিতা কামনা করেছেন।
এ সংক্রান্ত বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করুন আমাদের টাঙ্গাইল প্রতিনিধি অন্তু দাস হৃদয় এর সাথে। ফোন : ০১৯৩২২৩৭৮৫০ – তথ্য- newbd.