ঢাকা: বাংলাদেশে প্রতি একশ জনে ১৬ থেকে ১৮ জনের দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ সুপ্ত অবস্থায় বিদ্যমান। যার শেষ পরিণতি কিডনি বিকল হয়ে মৃত্যুবরণ।
শনিবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে আয়োজিত এক গোল টেবিল বৈঠকে এ তথ্য তুলে ধরেন ল্যাব এইড স্পেলাশাইজড হাসপাতালের চিফ কনসালটেন্ট ও কিডনি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা: এম এ সামাদ।
বিশ্ব কিডনি দিবস- ২০১৪ উপলক্ষে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কিডনি অ্যাওয়ারনেস মনিটরিং অ্যান্ড প্রিভেনশন সোসাইটি (ক্যাম্পাস) এ বৈঠকের আয়োজন করে।
বৈঠকে এম এ সামাদ আরো বলেন, ‘বাংলাদেশে দুই কোটিরও বেশি লোক কোনো না কোনো কিডনি রোগে আক্রান্ত। কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতি ঘণ্টায় পাঁচ জন অকালে মৃত্যুবরণ করছেন।’
ডা: এম এ সামাদ এ বৈঠকে কিডনি রোগ প্রতিরোধের উপায়সহ নানা বিষয় পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে উপস্থাপন করেন।
বৈঠকে উপস্থিত কিডনি ফাউন্ডেশনের সভাপতি অধ্যাপক ডা: হারুন অর রশীদ বলেন, ‘বাংলাদেশের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে অধিকাংশ পরিবারেই বয়স্কদের অবলম্বনহীন বা যত্নহীনতায় দিনাতিপাত করতে হয়। দীর্ঘস্থায়ী কিডনী রোগে আক্রান্ত বয়স্কদের ভোগান্তির কোনো শেষ থাকে না।’
কিডনি রোগে আক্রান্ত বয়স্ক দরিদ্রদের জন্য সরকারিভাবে চিকিৎসা এবং পুনর্বাসনের ব্যবস্থা গ্রহনের জোর দাবিও জানান তিনি।
কিডনি রোগ প্রতিরোধে সাতটি বিষয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। এগুলো হলো- ডায়রিয়া ও বমিজনিত পানি শুন্যতা রোধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন, প্রসবকালীন ও দুর্ঘটনাজনিত রক্তক্ষরণ রোধ, চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতিত ব্যাথা ও জীবানুনাশক ওষুধ সেবন না করা, ভেজাল খাদ্য পরিহার, সাপে কাটা ও পোকা মাকড়ের কামড়ে আধুনিক চিকিৎসা গ্রহণ, প্রস্রাবের পরিমান কমে গেলে দ্রুত চিকিৎসা নেয়া ও বিশুদ্ধ পানি পান করা।
গোলটেবিল বৈঠকে ডা: মুহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, ‘দেশে ৩ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকে কিডনি স্ক্যানিংয়ের ব্যবস্থা সংযুক্ত করলে দেশের প্রচুর সংখ্যক লোকের কিডনি রোগ শনাক্ত করা সম্ভব হবে।’
বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন- প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ডা: মুহাম্মদ মাহবুব আলী, বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক আক্তার উদ্দিন আহম্মেদ, আয়োজক সংগঠনের সাধারন সম্পাদক শাহীন রেজা নূর প্রমুখ।