প্রতিদিন মুখে ফাউন্ডেশন দিলে কী হয়?

0

photo-1450175998ফাউন্ডেশন ছাড়া মেকআপ কল্পনাই করা যায় না। কারণ বেইজ মেকআপের পুরোটাই নির্ভর করে ফাউন্ডেশনের ওপর। ফাউন্ডেশন দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ত্বকের কালচে ভাব, ব্রনের দাগ, বলিরেখা এক নিমিষেই ঢেকে যায়। এটা সত্যি যে, মেকআপ মনের মতো করতে চাইলে অনেকটাই নির্ভর করতে হয় ফাউন্ডেশনের ওপর। অনেকে আছেন যাঁরা সাজতে খুব ভালোবাসেন, আর মেকআপ ছাড়া বাইরে বেরুতেই চান না। কিন্তু তাই বলে প্রতিদিন মুখে ফাউন্ডেশন লাগাবেন? মেয়েরা আজকাল প্রয়োজন ছাড়াই মেকআপ করে থাকে। আর কিছু ব্যবহার করুক আর না করুক ফাউন্ডেশন লাগাবেই। আপনি কী জানেন প্রতিদিন মুখে ফাউন্ডেশন লাগালে কী হয়? ফাউন্ডেশনের ক্ষতিকর প্রভাবের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে লাইফস্টাইল-বিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই।

ত্বকের কোষের মুখ বন্ধ হয়ে যায়

ফাউন্ডেশন ব্যবহারে ত্বকের কোষের মুখ বন্ধ হয়ে যায়। যা ব্রন হওয়ার প্রধান কারণ। আর নিয়মিত যদি মুখে ফাউন্ডেশন লাগাতে থাকেন তাহলে একটা সময় ত্বকের লাবণ্য নষ্ট হয়ে যাবে এবং ত্বক প্রাণহীন মনে হবে।

ব্রন বেড়ে যায়

ত্বকের কোষ বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে ময়লা, ধুলোবালি ত্বকের মধ্যে বসে যায়। এর ফলে ব্রন ছড়িয়ে পড়ে। আর নিয়মিত ফাউন্ডেশন ব্যবহারের কারণে মুখে ব্রনের দাগ বসে যায়।

ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়

ফাউন্ডেশন যতই দামি হোক না কেন, এটি রাসায়নিক দ্রব্য দিয়েই তৈরি হয়। আর এই দ্রব্য ত্বকের জন্য খুবই ক্ষতিকর। বিশেষ করে যাদের স্পর্শকাতর ত্বক, কারণ এটি ত্বককে অনেক বেশি শুষ্ক করে ফেলে। যার কারণে মুখে চুলকানিসহ নানা সমস্যা দেখা দেয়। শুষ্কতার কারণে ত্বক দেখতে মলিনও লাগে। তাই তখন ফাউন্ডেশন আরো বেশি করে দিতে হয়। এই অতিরিক্ত রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহারের কারণে ত্বক খুবই রুক্ষ হয়ে যায়।

অ্যালার্জির সমস্যা দেখা দেয়

ফাউন্ডেশন মুখের অ্যালার্জির জন্য অনেকাংশে দায়ী। স্পর্শকাতর ত্বক শুষ্ক হয়ে যায় বলে অ্যালার্জি বেড়ে যায়। এর ফলে ত্বক হয় খসখসে এবং চুলকানির কারণে ত্বকে দাগ পড়ে যায়।

তৈলাক্ত ত্বক আরো তেলতেলে হয়ে যায়

যাদের ত্বক তৈলাক্ত তাঁরা যদি অয়েল বেইজড ফাউন্ডেশন দেন তাহলে ত্বক আরো বেশি তেলতেলে হয়ে যাবে। এর ফলে ব্রন বেড়ে যায় এবং ত্বক কালচে হয়ে যায়। তাই যদি ফাউন্ডেশন ব্যবহার করতেই হয় তাহলে ওয়াটার বেইজড ফাউন্ডেশন ব্যবহার করুন। তাহলে আর তৈলাক্ত ত্বক বেশি তেলতেলে হবে না।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More