[ads1]পিপাসা মেটাতে লেবুপানি খুব চমৎকার একটি পানীয়। এতে রয়েছে প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং মিনারেল, যা শরীরকে আর্দ্র রাখে। একে শক্তিবর্ধক এবং বিপাকক্ষমতা বাড়ানোর অন্যতম খাদ্য হিসেবে ধরা হয়। যখন আমরা সকালে ঘুম থেকে উঠি, আমাদের শরীর পানিশূন্য থাকে, যা পূর্ণ করার প্রয়োজন পড়ে। এই ঘরে তৈরি পানীয় শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করে, কিডনি ভালো রাখে এবং হজমে সাহায্য করে। স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়েবসাইট হেলদি ফুড টিম জানিয়েছে লেবুপানি পানের ১৪ সুফলের কথা।
কেন পান করবেন
১. লেবুতে রয়েছে ইলেকট্রোলাইট। যেমন : ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম ও ক্যালসিয়াম; যা শরীরে পানি ধরে রাখে।
২. এটি গিঁট ব্যথা রোধে অন্যতম খাবার।
৩. এর মধ্যে রয়েছে সাইট্রিক এসিড, যা হজমে সাহায্য করে।
৪. এর মধ্যে অন্যান্য খাবারের চেয়ে বেশি পরিমাণ এনজাইম রয়েছে।
৫. লেবুপানি লিভারকে পরিষ্কার রাখে এবং বিষাক্ত টক্সিন বের করতে সাহায্য করে।
৬. এই পানীয় লড়াই করে সংক্রমণ, প্রদাহ, শ্বাসযন্ত্রের সমস্যার বিরুদ্ধে।[ads2]
৭. এটি পেট পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।
৮. পানি স্নায়ুর কার্যক্রমকে ভালো রাখে। বিষণ্ণতা দূর করে, পটাশিয়ামের মাত্রা বাড়ায় এবং উদ্বেগ দূর করতে সাহায্য করে।
৯. এটি রক্তের শর্করার ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
১০. এটি অ্যালকালইজিং প্রভাব তৈরি করে, পিএইচের মাত্রা ঠিক রাখে এবং বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
১১. এই পানীয় ত্বকের জন্য ভালো। কেননা এতে রয়েছে ভিটামিন। এটি ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে সহায়ক।
১২. লেবুপানি সন্তানসম্ভবা নারীর ভিটামিনের ভালো উৎস। এটি ঠান্ডা এবং ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করে।
১৩. লেবুপানি ইউরিক এসিডকে বিস্মৃত করে, যে কোনো ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে।
১৪. যদি আপনার বুক জ্বালাপোড়া করে, তবে এক চা-চামচ লেবুর রস, এক গ্লাস পানির সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। সমস্যা দূর হবে।
সঠিক উপায়ে পানের নিয়ম
প্রথমে চিনি ছাড়া এক গ্লাস গরম পানিতে একটি লেবুর রস মেশান। লেবুর রস বের করার জন্য জুসারও ব্যবহার করতে পারেন। এ থেকে লেবুর কিছু তেলও বের হবে যা কাজে লাগবে।
অবশ্যই ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে পান করবেন। সকালের নাশতার এক ঘণ্টা আগে খাওয়া ভালো। দীর্ঘমেয়াদি উপকারিতা পেতে নিয়মিত লেবু পান করতে পারেন। তবে যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আছে তারা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এ পানীয় পান করবেন।[ads2]