ঢাকা: রমজান মাসে ইশার নামাজের পর ২০ বা ৮ রাকাত সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ নামাজকে তারাবি নামাজ বলে। অবশ্য এ নামাজ সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ কি না তা নিয়ে বিতর্ক আছে। এছাড়া এ নামাজের রাকাত সংখ্যা নিয়েও বিতর্ক রয়েছে। তবে ৮ রাকাতের পক্ষেই তথ্যপ্রমাণ অনেক নির্ভরযোগ্য।
কিন্তু বেশি নেকির আশায় অনেকে ২০ রাকাতই পড়েন। অনেকে আবার খতম তারাবি পড়েন। তবে এটি করতে গিয়ে প্রায়ই স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক দ্রুত নামাজ আদায় করতে দেখা যায়। এতে সুরা-কিরাত ঠিকঠাক তেলওয়াত হয় না। রুকু-সিজদাহ সঠিক হয় না। অথচ এ নামাজ পড়া উচিৎ ধীরে ধীরে অত্যন্ত তরতিবের সাথে।
তারাবি শব্দটি আরবি, তারাবিহাহ্ এর বহুবচন, যার অর্থ ক্ষণিক বিশ্রাম। রমজানের এই নামাজে প্রতি ৪ রাকাতের পর কিছু সময় অর্থাৎ ৪ রাকায়াত নামাজের সমপরিমাণ সময় বিলম্ব ও বিশ্রামের নিয়ম থাকায় এ নামাজে এরূপ নামকরণ করা হয়েছে ।
তারাবির নামাজের সময়
যে রাতে রমজানের চাঁদ দেখা যাবে সে রাত থেকে তারাবি নামাজ শুরু করতে হবে। ঈদুল ফিতরের চাঁদ দেখা গেলে তারাবি বন্ধ করতে হবে। তারাবি নামাজের সময় এশার নামাজের পর থেকে শুরু হয় এবং ফজরের ওয়াক্ত হওয়ার আগে পর্যন্ত থাকে। (দুররুল মুখতার)
তারাবির জামাত
রাসুল (সা.) রমজানে তিন রাত ২৩, ২৫ এবং ২৭ শে রাত তারাবি নামাজ জামায়াতে পড়িয়েছিলেন। তারপর তিনি যখন সাহাবিদের মধ্যে বিরাট উৎসাহ উদ্দীপনা ও অনুরাগ দেখলেন তখন মসজিদে এলেন না। সাহাবারা তখন তার দরজায় আওয়াজ দিতে লাগলেন। তখন নবীজি বললেন, আল্লাহ তোমাদের উৎসাহ উদ্দীপনায় আরও বরকত দিন। আমি এ আশঙ্কায় মসজিদে যাইনি যে, এ নামাজ তোমাদের ওপর ফরজ হয়ে না যায় এবং সর্বদা তোমরা তা পালন করতে না পার। কারণ, নফল নামাজ ঘরে পড়াতে বেশি সওয়াব ও বরকত হয় (বোখারি)।
এ হাদিস থেকে প্রমাণিত হয়, রাসূল (সা.) তিন রাত জামায়াতের পরে দ্বিতীয় খলিফা হযরত ওমর (রা.) রীতিমত জামায়াত কায়েম করেন এবং সাহাবায়ে কিরাম তা মেনে নেন। পরবর্তীকালে কোনো খলিফাই এ সুন্নতের বিরোধিতা করেননি। এ জন্য আলেম সমাজ এ নামাজকে সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ কিফায়া বলেছেন।
এই বয়স্ক লোকটির মতো তারাবি পড়লে নেকি না হয়ে উল্টো গুনা হবে: