সোমবার সকালে উপজেলার লক্ষীকুণ্ডা ইউনিয়নের নুরুল্লাপুর গ্রামের খন্দকার খায়রুল ইসলামের ব্যক্তি মালিকানাধীন একটি জমিতে পুকুর খনন করার সময় ওই প্রাচীন স্থাপত্যের নিদর্শন মেলে।
ওই গ্রামের বাসিন্দা জমির মালিক খন্দকার খায়রুল ইসলাম জানান, আমি ১৯৪৭ সালে জনৈক অন্তু মজুমদারের কাছ থেকে এই জমি কিনেছিলাম। কয়েকদিন আগে ড্রেজার মেশিন দিয়ে খননের কাজ শুরু করেন। পুকুরটি প্রায় ২৫ ফুট খনন করার পর মাটি কাটার শ্রমিকরা প্রথমে কিছু পুরনো ইটের সন্ধান পান।
গ্রামের ছোট বড় অনেকেই টর্চ লাইট নিয়ে সুড়ঙ্গ দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করেছিল। তেমনি একজন সেলিম মৃধা (৪২) জানান, সুরঙ্গটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৫৫ ফুট। ভেতরে যাওয়ার পর তারা দেখতে পান সুড়ঙ্গটির শেষ দিকে দুটি পথ দুদিকে চলে গেছে। একটি দিয়ে কিছুদূর যাওয়ার পর তারা সেটি বন্ধ দেখেছে। এরপর ভয়ে দ্বিতীয় পথটি দিয়ে যাওয়ার সাহস পাননি তারা।
এলাকার একাধিক প্রবীণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পূর্বপুরুষ থেকে তারা জেনে আসছেন ওই গ্রামে নীলকরদের কুঠি ছিল। তবে আমরা দেখতে পাইনি। শুধু কয়েকটি মোটা মোটা প্রাচীর (ধ্বংসপ্রায়) দেখতে পেয়েছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সানোয়ার হোসেন বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশের হেফাজতে দিয়েছি। পুকুর খনন কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেখানে জনসাধারণের প্রবেশ নিষেধ করা হয়েছে।
ইউএনও আরও জানান, বিষয়টি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে আমরা প্রত্নতত্ব বিভাগকে লিখিতভাবে জানিয়েছি। তাদের বিশেষজ্ঞ টিম দিয়ে স্থাপনার বিষয়টি খতিয়ে দেখে যে নির্দেশনা দেবে সে অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।