পৃথিবীতে মানুষের নানান রকম অদ্ভুত খেয়াল থাকে। আর তা যদি হয় গিনেজ বুকে নাম লেখানো তাহলে তো আদাজল খেয়ে নামতেই হবে।
আমেরিকার ৩৪২ কেজি ওজনের বিশালদেহী সুসানি ইমানের বয়স ৩৩ বছর। তার জীবনের এখন একটাই লক্ষ্য, পৃথিবীর সবচেয়ে মোটা মানুষ হওয়ার কীর্তিটি নিজের ভাগে আনা। এ জন্য তাকে নিজের ওজন নিয়ে যেতে হবে ৭৩০ কেজিতে। দুরুহ এ লক্ষ্যে পৌঁছাতে তাই তিনি এটেছেন এক অভিনব পরিকল্পনা। ভালোবেসে বিয়ে করছেন এমন একজনকে যার পেশাই হচ্ছে রান্না করা। সুসানির সেই ভালোবাসার মানুষটির নাম পার্কার ক্লার্ক। খুব শীঘ্রই তারা বিয়ে করছেন বলেও জানিয়েছেন সুসানি।
সুসানি এবং পার্কারের এই অদ্ভুত রসায়নের পেছনের গল্পটাও আকর্ষণীয়। ইন্টারনেটে পরিচয়ের সুবাদে ই-মেইল চালাচালির ফলেই দু’জনের মধ্যে সখ্যতা গড়ে উঠে। এর মাসখানেক পর পার্কার চলে আসেন অ্যারিজোনায় সুসানির বাসায় এবং থাকতে শুরু করেন তার দুই ছেলে ব্রেনডিন ও গ্যাব্রিয়েলের সঙ্গে। নিজেদের এই অদ্ভুত জুটি নিয়ে নানা জন নানা রসাত্মক মন্তব্য করলেও সুসানি আর পার্কার কিন্তু বেজায় খুশি।
সুসানি বলেন, আমার এবং পার্কারের জুটি তৈরি হয়েছে স্বর্গে। আমি খেতে ভালোবাসি আর পার্কার ভালোবাসে রাঁধতে। আমি এখন পৃথিবীর সবচেয়ে মোটা নারী হতে চাই আর পার্কার আমাকে তাতে অনুপ্রেরণা যুগিয়ে যাচ্ছে বিরতিহীনভাবে। পার্কার সম্পর্কে সুসানি আরো বলেন, সে মোটা মেয়েদের পছন্দ করে এবং দেখতে ভালোবাসে তার রান্না খেয়ে আমি কতটা খুশি হই।
পার্কারের রান্নার হাত তার প্রতি আকর্ষণের অন্যতম কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওর রান্না করা আমার সবচেয়ে প্রিয় ডিশ হলো স্পাগ্যাট্টি বোলোংনেসি। আমি প্রতিদিনই এটি খাই। এছাড়া পার্কার আমাকে ঘরের অন্যান্য কাজেও সাহায্য করে। অন্যদিক সুসানির প্রশংসা করে পার্কার বলেন, আমি তাকে সবসময়ই অনুপ্রেরণা জুগিয়ে যাই, কারণ এটি তাকে সুখি করে। এছাড়া আমি মোটা মেয়েদের পছন্দও করি।
সুসানির স্বাস্থ্য নিয়ে পার্কার বলেন, আমি এ বিষয়ে বিন্দুমাত্র ভাবি না। বরং আমি সবসময় চাই সুসানি সালাদের মতো স্বাস্থ্যকর খাবার খাক এবং সবসময় ব্যায়াম করুক। যদিও সুসানির খাওয়ার বিষয়ে এবং ক্রমবর্ধমান স্বাস্থ্য নিয়ে ডাক্তাররা তাদের ভয়ের কথাই শুনিয়েছেন বেশি। বিশ্বের সবচেয়ে মোটা মহিলা হওয়ার প্রতিযোগিতায় নামা সুসানির এই বিরতিহীণভাবে খেয়ে যাওয়াকে নিজের জীবনের সঙ্গে জুয়া খেলা বলেই মন্তব্য করছেন তারা।
Prev Post
Next Post