বাতাসে চুমু ছড়িয়ে দেয়া, ভালবাসার চিহ্ন আঁকা অথবা কাউকে ভাল লাগলে ইশারা করা – এসবও কি শেখার জিনিস? অথচ সেটাই হচ্ছে সিঙ্গাপুরে৷
কাউকে ভাল লাগলে তার দৃষ্টি আকর্ষণ করে তাকে ভাল লাগার বিষয়টি বোঝানোর কৌশলটা বাঙালি বোধ হয় ভালই জানে৷ কিন্তু সিঙ্গাপুরের তরুণরা হয়তো সেটা পারে না৷ তাইতো এসব বিষয় শেখাতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে অনেক সংস্থা৷
বেসরকারি উদ্যোগে চালু হওয়া এসব সংস্থাকে অর্থ দিয়ে সহায়তা করছে স্বয়ং সরকার! কারণ দেশটিতে আশঙ্কাজনক হারে কমে চলেছে জন্মহার৷ সেই সঙ্গে তরুণ তরুণীদের মধ্যে বিয়ে করার আগ্রহও কমে যাচ্ছে৷ তাই চিন্তিত সরকার ও রাজনীতিবিদরা৷ কারণ এভাবে চলতে থাকলে ভবিষ্যতে সিঙ্গাপুরে স্থানীয়দের সংখ্যা অনেক কমে যাবে৷ এখনই সেখানে জনশক্তির একটা বড় অংশ অভিবাসী৷
পরিস্থিতির উন্নতি করতে সরকার নানা খাতে ১.৩ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করছে৷ এর মধ্যে রয়েছে পরিবার গঠনে দম্পতিদের আর্থিক সহায়তা দেয়া, শিশু স্বাস্থ্যে ভর্তুকি দেয়া, শিশু জন্মদানের সময় মা-বাবার বেতনসহ ছুটির মেয়াদ বাড়ানো ইত্যাদি৷
‘কমপ্লিটমি’ সিঙ্গাপুরের একটি ডেটিং এজেন্সি৷ সেখানে কোর্সে অংশগ্রহণকারীদের প্রেম করা এবং সেটা কীভাবে ধরে রাখতে হয় তার শিক্ষা দেয়া হয়৷
কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, যে শিক্ষা দেয়া হচ্ছে সেটা বাস্তবে প্রয়োগ করার জন্য যে সময় প্রয়োজন তা নেই সিঙ্গাপুরের তরুণদের৷ এটা যেমন সত্য কোনো ছেলের ক্ষেত্রে, তেমনি মেয়েদের বেলায়ও৷
ভেনেসা চুয়া নামের এক তরুণ বলছে, কোনো একজনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার সময় তার নেই৷ কেননা অফিসে তাকে অনেক সময় ধরে কাজ করতে হয়৷ আর সপ্তাহান্তগুলোতে বন্ধুদের সঙ্গে সিনেমা দেখতে যাওয়া, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে হয়৷ ফলে এর মধ্যে অন্য একজনের সঙ্গে মিলিত হওয়ার সুযোগ নেই৷
এই যদি হয় অবস্থা তাহলে আপনারাই বলুন সরকার কীভাবে কী করতে পারে৷