১১৭ বছর বয়সী বৃদ্ধর ২২ বছরের

0

117 year 22 yearচট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার শিলক ইউনিয়নের ফকিরাঘাট গ্রামের বৃদ্ধ হাজী মুক্তুল হোসেন ১১৭ বছর বয়সে এসে দ্বিতীয় বিয়ে করে এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। উপজেলার চন্দ্রঘোনা কদমতলি ইউনিয়নের ছুপিপাড়া গ্রামের মৃত আবদুল মালেকের ২২ বছর বয়সি মেয়ে খতিজা বেগমকে এক লক্ষ টাকার কাবিননামায় দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে বিয়ে করে তিনি ঘরে তোলেন।

১৯৩২ সালে উপজেলার স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া ইউনিয়নের দৈবকিনন্দন গ্রামের সফুরা খাতুনকে প্রথম স্ত্রী হিসেবে সামাজিকভাবে বিয়ে করেন হাজী মুক্তুল হোসেন। ১৯৯২ সালে অসুস্থতাজনিত কারণে মারা যান প্রথম স্ত্রী সফুরা খাতুন। তাদের সংসারে রয়েছে ৩ ছেলে ও ৪ মেয়ে সন্তান। তাদের ছেলেমেয়েরাও বিয়েশাদী করে হয়েছেন সংসারী।

১১৭ বছর বয়সে এসে মুক্তুল হোসেন নতুন বউ ও তাকে দেখতে দিনরাত তার বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছে এলাকার উৎসুক নারী-পুরুষরা। বৃদ্ধ বয়সে আলোড়ন সৃষ্টি করা রসিক মনমানসিকতা সম্পন্ন হাজী মুক্তুল হোসেন শিলক ফকিরাঘাট এলাকার মৃত জেয়াব উদ্দিনের পুত্র।

চন্দ্রঘোনা ছুপিপাড়া গ্রামে দরিদ্র পরিবারের খতিজাকে বউ হিসেবে তুলে আনার সময় বরযাত্রী হিসেবে যান মুক্তুল হেসেনের বড় মেয়ে লাইলা বেগম, জামাই শামসুল আলম, দুই নাতি আবুল হাশেম ও আবুল কাশেমসহ মোট ৬ জন।

হাজী মুক্তুল হোসেন বলেন, ১১৭ বছর বয়স হলেও এখনো আমি চশমা ছাড়া কোরান শরীফ ও পত্রিকা পড়তে পাড়ি। লাঠি ছাড়া চলাফেরা করতে পারি। আমি প্রতিদিন মসজিদে গিয়ে নিজে আযান দিয়ে ফজরের নামাজ আদায় করি। বিয়ে করার মতো শক্তি-সামর্থ আমার আছে, তাই কারো উপর নির্ভরশীল না হতে শরিয়ত মতে বিয়ে করলাম। শখের বশে নয় প্রয়োজনের তাগিদে তিনি বিয়ে করেছেন জানিয়ে বলেন, নতুন বউকে আমার চোখে সুন্দর লেগেছে। পরিবারের সবাই মেনে নিয়েছেন, আত্মীয়-স্বজনরা গিয়েই নতুন বউ ঘরে তুলে এনেছেন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More