এ ঘটনায় নারী ও শিশুসহ আহত হয়েছে ৪০ জনেরও বেশি মানুষ।
শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে এ হামলা হয় বলে জেকোবাবাদ জেলা পুলিশের কর্মকর্তা জাফর ইকবাল আওয়ান জানিয়েছেন।
শোভাযাত্রায় আত্মঘাতী বোমা হামলা চালানো হয় জানিয়ে তিনি বলেন, “ঘটনাস্থলে আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীর মাথা ও শরীরের অন্যান্য অংশ পাওয়া গেছে।”
নিহত ও গুরুতর আহতদের লারকানা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হাসপাতালটিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে বেলুচিস্তানের একটি শিয়া মসজিদে বোমা হামলায় ১০ জন নিহত হন।
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (স.)-এর দৌহিত্র ইমাম হোসেনের (রা.) শহীদ দিবস স্মরণে শুক্রবার পাকিস্তানের প্রধান শহরগুলোতে সমবেত হয়ে শোভাযাত্রা করে শিয়ারা।
সপ্তম শতকে ফোরাত নদীর তীরে কারবালা প্রান্তরে শহীদ হন ইমাম হোসেন। তার শহীদ দিবস উপলক্ষে মহররম মাসের ১০ তারিখ শিয়াদের কাছে ত্যাগ ও শোকের প্রতীক। নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে আশুরার এই দিনটি পালন করে তারা।
এই দিনে দূর-নিয়ন্ত্রিত বোমা হামলার আশঙ্কায় পাকিস্তানের বেশিরভাগ গুরুত্বপূর্ণ শহরে মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ রাখা হয়। বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থার আংশ হিসেবে ঘন ঘন চেকপোস্টসহ সাধারণের চলাচলেও নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়।