অক্টোবর থেকে ব্রিটিশ হাই কমিশনের ভিসা সেকশন, বাংলাদেশে জমাকৃত আবেদনের ক্ষেত্রে আর সিদ্ধান্ত গ্রহণের কাজ করবে না বলে জানিয়েছে ঢাকার ব্রিটিশ হাইকমিশন।
সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় এ তথ্য জানানো হয়।
এক্ষেত্রে আবেদনের খরচ অপরিবর্তিত এবং হাইকমিশনের বিদ্যমান সেবার মান অক্ষুণ্ন রেখে আগের মতোই থাকবে বলে জানানো হয়। এমনকি নন-সেটেলমেন্ট ভিসার জন্য ১৫ দিন ও সেটেলমেন্ট ভিসার জন্য ৬০ দিন সময়কাল বহাল থাকবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগের মতোই বাংলাদেশি আবেদনকারীরা ঢাকা এবং সিলেটের ভিসা আবেদন কেন্দ্রে তাদের আবেদনসমূহ জমা দেবেন। এজন্য আবেদনকারীকে দিল্লি যেতে হবে না।
ব্রিটিশ হাইকমিশন জানায়, পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নয়াদিল্লিতে অবস্থিত ব্রিটিশ হাইকমিশনের ভিসা সেকশন, আঞ্চলিক কেন্দ্র হিসেবে বাংলাদেশে জমাকৃত আবেদনগুলির বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের কাজ সম্পন্ন করবে।
এর আগে গত ২৪ জুলাই এ বিষয়ে একটি ঘোষণা দেওয়া হয়। ঘোষণা মোতাবেক, ইউনাইটেড কিংডম ভিসাস অ্যান্ড ইমিগ্রেশন (ইউকেভিআই)-এর বৈশ্বিক কৌশলের অংশ হিসেবে, যুক্তরাজ্যের ভিসার আবেদন বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের কেন্দ্রের সংখ্যা কমিয়ে আনা হচ্ছে।
এই কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে, আঞ্চলিক কেন্দ্র (এক্সটেন্ডেড হাব) এবং স্পোক নেটওয়ার্ক (কয়েকটি দেশের সেবা কার্যক্রমকে একটি কেন্দ্রের মাধ্যমে পরিচালনা করা) এর মাধ্যমে।
ব্রিটিশ হাইকমিশন জানায়, এরই অংশ হিসেবে এই পরিবর্তনগুলি তিন ধাপে সম্পন্ন হবে। সেটলমেন্ট (প্রথম ধাপ) ভিসা এবং পয়েন্ট বেজড সিস্টেমের (দ্বিতীয় ধাপ) আবেদন ইতোমধ্যে নয়াদিল্লিতে নিষ্পত্তি হতে শুরু করেছে।
তৃতীয় এবং শেষধাপে, আগামী ৭ সেপ্টেম্বর বা এর পরের অন্যান্য সব ধরনের ভিসা আবেদন বর্ণনা করা তারিখ থেকে নয়াদিল্লিতে যাচাই-বাছাই করা হবে।
তবে ব্রিটিশ হাইকমিশন আশ্বস্ত করে জানায়, আবেদনকারীর পাসপোর্ট বাংলাদেশেই থাকবে এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে ব্রিটিশ রাজকীয় আধিকারিকরা।
Prev Post
Next Post