[ads1]ইইউতে থাকা না থাকা নিয়ে ভোট দিতে যাচ্ছেন বৃটেনের সাড়ে চার কোটি ভোটার, যার দিকে তাকিয়ে আছে গোটা বিশ্ব।
প্রচার-প্রচারণা শেষে এখন গণভোটের পালা। আর কয়েক ঘণ্টা পরই শুরু হবে ঐতিহাসিক গণভোট। ২৮ দেশের জোট ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) যুক্তরাজ্যের থাকা না-থাকার বিষয়ে ভোটাররা আজ ২৩ জুন তাঁদের সিদ্ধান্ত দেবেন।
বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, গণভোটের সব প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। বিভিন্ন কেন্দ্রে ব্যালট বাক্স পৌঁছে গেছে। কয়েক ঘণ্টা পরই শুরু হবে গণভোট।
যুক্তরাজ্যের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ভোট নেওয়া হবে। স্থানীয় সময় কাল শুক্রবার সকাল নাগাদ ভোটের ফল জানা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
দেশটির চার প্রদেশ ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, ওয়েলস ও উত্তর আয়ারল্যান্ডের পাশাপাশি স্পেন উপকূলের অদূরের ব্রিটিশ শাসিত ক্ষুদ্র ভূখণ্ড জিব্রাল্টারের অধিবাসীরা এই গণভোটে রায় দেবেন। সব মিলিয়ে মোট ভোটার সংখ্যা প্রায় চার কোটি ৬৫ লাখ।
গণভোটের ব্যালট পেপারে ভোটারদের প্রতি প্রশ্ন রাখা হয়েছে, ‘যুক্তরাজ্যের ইইউর সদস্য হিসেবে থাকা উচিত নাকি ইইউ ত্যাগ করা উচিত?’
প্রাপ্ত ভোটের মধ্যে যে পক্ষ অর্ধেকের বেশি ভোট পাবে, সেই পক্ষ জয়ী বলে বিবেচিত হবে।[ads1]
গণভোট ঘিরে যুক্তরাজ্য দুই ভাগে বিভক্ত। একদল ইইউতে থাকার পক্ষে (রিমেইন)। অন্যদল বিপক্ষে (লিভ)। গণভোটের আগে চার মাস ধরে চলে প্রচার-প্রচারণা।
প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন, বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিনসহ দেশটির প্রধান রাজনৈতিক নেতারা ইইউতে থাকার পক্ষে প্রচার চালিয়েছেন।
অভিবাসনবিরোধী দল ইউকে ইনডিপেনডেন্স পার্টি (ইউকিপ) এবং ক্যামেরনের মন্ত্রিসভার বিদ্রোহী সাত সদস্য ইইউবিরোধী প্রচারে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
এ ছাড়া ক্ষমতাসীন দলের ১৩৭ জন এমপি ও লেবার দলের ১০ জন এমপি ইইউর বিপক্ষে অবস্থানের কথা জানিয়েছেন।
ইইউতে যুক্তরাজ্যের থাকা না-থাকার বিতর্কে বিশ্বনেতারাও যোগ দেন। বহুল আলোচিত এই গণভোটের দিকে সারা বিশ্বের নজর থাকছে।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ডেভিড ক্যামেরনের রাজনৈতিক জীবনে এটাই সম্ভবত ‘সবচেয়ে বড় জুয়া’। ২৩ জুনের ভোটের ওপর তার এবং তার দলের অনেক কিছুই নির্ভর করছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, গণভোটের ফল যাই হোক, ব্রিটেন ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাক বা না থাক, এই ভোটের প্রভাব হবে সুদূরপ্রসারী। ব্রিটেনের আগামী প্রজন্ম, আগামী দিনের রাজনীতিও হয়ত পাল্টে দেবে এই ভোট।[ads2]