
ঢাকা: সাবেক তারকা ক্রিকেটার ও পাকিস্তান তেহরিক ই ইনসাফের (পিটিআই) নেতা ইমরান খান দেশটির পার্লামেন্টকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, আমাকে গণতন্ত্র শেখাতে এসো না। বৃহস্পতিবার বিকেলে ইসলামাবাদের রেডজোনে ভাষণ দেয়ার সময় তিনি এ কথা বলেন।
নিজেদের দাবিতে অনড় অবস্থান নিয়ে ইসলামাবাদের সংরক্ষিত এলাকা রেডজোনের ভেতরেই অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে পিটিআই ও তাহিরুল কাদরির দল পাকিস্তান আওয়ামি তেহরিকের (পিএটি) কর্মীরা। বৃহস্পতিবার একই মঞ্চে ভাষণ দেন ইমরান খান ও তাহিরুল কাদরি।
এদিকে পদত্যাগ না করার ব্যাপারে অনড় অবস্থানে রয়েছেন নওয়াজ শরিফ। গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত পার্লামেন্টের যৌথ সভায় সব দলই নওয়াজ শরিফের পক্ষে অবস্থান নেয়ার পর নিজের সিদ্ধান্তে আরো জোরালো অবস্থান নেন শরিফ।
গত ১৪ আগস্ট ২০১৩ সালের নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে নওয়াজ শরিফের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে পিটিআই ও পিএটি। অন্য কোনো দলকে পাশে না পেলেও সেনাবাহিনীর অস্পষ্ট সমর্থন পেয়ে যাচ্ছে দল দুটি।
কেননা, রেডজোনের মতো রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় সাংঘর্ষিক আচরণ করলেও দল দুটির কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না দেশটির শক্তিশালী সেনাবাহিনী। এর ফলে সময় গড়ানোর সঙ্গে অবস্থা আরো ঘোলাটে হচ্ছে।
এছাড়াও ইমরান খানের কর্মসূচিকে ঘিরেও নানা সন্দেহজনক তত্ত্ব তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয়তা পাওয়া তত্ত্বটি হল, সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলের পথ সুগম করতেই নাচছেন ইমরান।
দিন যতই গড়াচ্ছে দেশটির রাজনীতির আকাশে বিশেষ করে গণতন্ত্রের কপালে কি ঘটবে তা নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হচ্ছে। ধীরে ধীরে অবস্থাটা এমন পর্যায়ে যাচ্ছে শেষ পর্যন্ত দেশটির সুপ্রিম কোর্ট এবং সেনাবাহিনীর দিকেই তাকিয়ে থাকবে দেশের মানুষ। কেননা এর আগে বহুবার দেশটি সামরিক অভ্যুত্থান ঘটেছে। আর গত কয়েক বছরে সুপ্রিম কোর্ট দেশটির রাজনীতির ওপর ভাল মতই ছড়ি ঘুরিয়েছে।