ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দোনেতস্ক ও লুহানস্ক প্রজাতন্ত্রের রুশপন্থী বিক্ষোভকারীরা স্বাধীনতার পক্ষে ভোটগ্রহণ শুরু করেছে। আজ (রোববার) অনুষ্ঠানরত এ নির্বাচনকে গণভোটও বলা হচ্ছে। এ ধরনের ভোটের জের ধরে গত মার্চ মাসে ইউক্রেন থেকে আলাদা হয়ে রাশিয়ায় যোগ দিয়েছে ক্রিমিয়া।
শনিবার সকাল থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। যে দু’টি প্রজাতন্ত্রে আজ গণভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে তার অন্তত ১২টি শহর রুশপন্থীদের দখলে রয়েছে।
ইউক্রেনের পাশ্চাত্যপন্থী সরকার, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন এ গণভোটকে অবৈধ বলে উল্লেখ করেছে। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এ গণভোট স্থগিত রাখার আহ্বান জানালেও তাতে কান দেয়নি মস্কোপন্থী বিক্ষোভকারীরা। বিশ্লেষকরা অবশ্য মনে করছেন, এ গণভোটে রাশিয়ার পরোক্ষ মদদ রয়েছে।
আজকের গণভোটে ‘হ্যা’ জয়ী হলে ইউক্রেন থেকে লুহানস্ক ও দোনেতস্ক আলাদা হয়ে যাওয়ার সুযোগ পাবে। তবে রাশিয়া ছাড়া বিশ্বের অন্য কোনো দেশ এ গণভোটের ফলাফলকে স্বীকৃতি দেবে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে।
উল্লেখ্য, ইউক্রেনে দু’সপ্তাহ পর যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হতে যাচ্ছে তার প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানো হচ্ছে আজকের গণভোটের মাধ্যমে।আমেরিকা ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন মনে করছে ওই নির্বাচনের মাধ্যমে ইউক্রেনে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠিত হবে। এই আমেরিকা ও ইউরোপের উস্কানিতে ব্যাপক বিক্ষোভের জের ধরে গত ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকোভিচ ক্ষমতাচ্যুত হলে দেশটিতে বর্তমান সংকট শুরু হয়।