ব্রিটেন ইউরোপে থাকা না থাকা নিয়ে ২৩ জুন দেশটিতে হতে যাওয়া গণভোটে নিয়ে চলছে প্রচার প্রচারণা। লেবার পার্টির শীর্ষ নেতারা ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে ব্রিটেনের থাকার পক্ষে বিশেষ প্রচারণা শুরু করেছেন। তারা তাদের নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় এই প্রচারণা চালানোর পাশাপাশি এক যৌথ বিবৃতিও প্রদান করেছেন। বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন ১৬ জন এমপি, ৩ জন এমইপি এবং ১ জন ব্যারনেস।
বিশেষ বিবৃতিতে তারা ব্রিটেনের ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে থাকার ইতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরে এর পক্ষে ভোট দানের জন্য সবার প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন। সেই প্রচারণার অংশ হিসেবে বাঙালি ৩ এমপি রুশনারা আলী, টিউলিপ সিদ্দিক, রূপা হক যৌথ বিবৃতিতে অংশ নিয়েছেন।
বিবৃতিতে লেবার নেতৃবৃন্দ বলেন, বৈচিত্র্যময় নানা জনগোষ্ঠীর সমন্বয়ে আজকের শক্তিশালী ব্রিটেন গড়ে উঠেছে। ইইউয়ে থেকে চলে আসা মানে এর ছন্দ পতন। এই পতনের নানামুখী নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া রয়েছে। এছাড়া ইউনিয়ন থেকে বের হয়ে গেলে ব্রিটেনের পরিস্থিতি কী দাঁড়াবে এ সম্পর্কে আমাদের অন্ধকারে রাখা হয়েছে। আমরা কেউই জানি না এর প্রতিক্রিয়া কী। শুধু জানি আমাদের অর্থনীতি একটা বড় ধরনের ধাক্কা খাবে।
বিশেষজ্ঞরা অনুমান করছেন এর ফলে তরুণদের কর্মের সুযোগ সংকোচিত হয়ে আসবে। বিশেষ করে এথনিক কমিউনিটির তরুণরা বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তারা বলেন, বের হয়ে যাওয়ার পক্ষের ক্যাম্পেইনরা ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে বের হয়ে কেবল মাত্র কমনওয়েলথে থাকার পক্ষে মতামত দিচ্ছেন। প্রকৃতপক্ষে এটা সঠিক কোন পছন্দ হতে পারে না। আমাদের জন্য দুটোই গুরুত্বপূর্ণ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ২৩ জুন আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে আমরা নাইজেল ফারাজ কিংবা ম্যারীন লি প্যানের দিকে যাবো, না প্রেসিডেন্ট ওবামা থেকে এল্যান জনসন কিংবা লক্ষ লক্ষ কর্মীদের সংগঠন ইউনাইট, ইউনিসন, জিএমবি-এর মতো সংগঠনের কথা শুনবো।
অন্যদিকে দুইদিন আগে লন্ডনের সাবেক মেয়রও কনজারভেটিভ পার্টির এমপি বরিস জনসন ব্রিটেনকে ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকাকে হিটলারের সঙ্গে তুলনা করেছেন। যদিও প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামরন আবার ইউনিয়নে থাকার পক্ষে তার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
Prev Post