ইরাকের পর এবার সিরিয়ার সেনাদের হত্যা করেছে উগ্রপন্থী গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)। দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ আল-রাক্কা থেকে এই সেনাদের আটক করা হয়েছিল।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, সম্প্রতি ইসলামি স্টেটের জঙ্গিরা আল-তাবাকা বিমান ঘাঁটিটি দখলে নেয়। ওইসময় পলায়নরত সিরীয় সেনাদের আটক করে তারা।
একটি ভিডিওচিত্রে দেখা যায়, জঙ্গিদের অস্ত্রের মুখে ১০ সিরীয় সেনা তাদের ইউনিফর্ম ছাড়া শুধুমাত্র অন্তর্বাস পরিহিত অবস্থায় অজ্ঞাত স্থানের দিকে হেঁটে যাচ্ছে যেখানে তাদের হত্যা করা হয়।
সিরিয়ান অবজারভেটরি হত্যার শিকার সেনার সংখ্যা ১৬০ জনের বেশি বললেও অন্যসূত্রগুলো জানিয়েছে, নিহত সেনার সংখ্যা ২৫০।
এরআগে ইরাকে শতশত সেনাসদস্যকে আটকের পর হত্যা করে আইএস জঙ্গিরা।
২৪ অগাস্ট আইএস জঙ্গিদের সঙ্গে প্রবল লড়াইয়ের মুখে আল-তাবাকা বিমানঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ হারায় সিরীয় সেনারা। এক পর্যায়ে লড়াইয়ে পিছু হটে সিরীয় বাহিনী।
আল-রাক্কায় এই বিমানঘাঁটিটিই ছিল ওই অঞ্চলে সিরীয় সেনাবাহিনীর সর্বশেষ শক্তঘাঁটি। তবে প্রায় বছরখানের আগে আইএস যোদ্ধাদের কাছে আল-রাক্কার নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছিল সিরীয় বাহিনী।
ইসলামি স্টেট (আইএস) ইতোপূর্বে দি ইসলামিক স্টেট অ্যান্ড দ্য লেভান্ত (আইএসআইএল) নামে পরিচিত ছিল। সম্প্রতি এই উগ্রপন্থী গোষ্ঠীটি দাবি করেছে তারা সিরিয়া এবং ইরাকের বিশাল অংশ নিয়ে ‘ইসলামি খেলাফত’ প্রতিষ্ঠা করেছে, যা ওই অঞ্চলের রাজনৈতিক মানচিত্রের জন্য হুমকি হয়ে উঠেছে।
এই গোষ্ঠীটির ৭০ হাজার যোদ্ধা রয়েছে বলে ধারণা করা হয়। এসব যোদ্ধা আবু বাকার আল-বাগদাদির নেতৃত্বে ‘ইসলামি খেলাফত’ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নির্বিচার হত্যাসহ অন্যান্য অপরাধ ঘটিয়ে যাচ্ছে।