তাঁর ফেসবুক প্রোফাইলে ১৮ হাজার লাইক। প্রতিদিনিই প্রস্তাব আসে ডেটিংয়ের। ‘হ্যালো সেক্সি’, ‘আই লাভ ইউ’, ‘হট বেব’ এমন মন্তব্যে ভরে যায় ফেসবুক ইনবক্স। তবে মজার বিষয় ছবিতে আমরা যে বিশাল আয়তনের ময়রা রসেলসকে দেখছি, তাঁর প্রোফাইলে এমন মন্তব্য হয়ত তামাশাই মনে করবেন। কিন্তু আপনাকে বলব একটু ধৈর্য্য করে বিস্তারিত খবরটা পড়ুন। তারপর আপনিও মনে করবেন রসেলস সত্যি সেক্সি! ময়রা লিজবেথ রসেলস ছিলেন পৃথিবীর সবথেকে ভারী মানুষ। ঠিকই শুনেছেন। তিনি একসময় ভারী মানুষ ছিলেন। তাঁর ওজন ছিল ৪৭০ কেজি।
শরীর তাঁর কাছে শত্রু হয়ে দাঁড়িয়েছিল। জীবন মরণ লড়াইয়ে চলছিল প্রতিদিনের দিনযাপন। একদিন একটি দুর্ঘটনা তাঁর জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। ২০০৮ এক আত্মীয়র অস্বাভাবিক মৃত্যুর জন্য দোষী সাবস্ত্য করা হয় তাঁর বোন জেমিকে। দোষ প্রমাণ হলে ১৫ বছরের জেল হয় জেমির। তাঁর বোনের দুই সন্তান ও পরিবারের সমস্ত দায়িত্ব তাঁর কাঁধে এসে পড়ে। এইভাবেই নিজের জীবনের লড়াইয়ের সঙ্গে যোগ হয় আরও একটি লড়াই।
তাঁর শরীরে ১১ রকম অপারেশন করা হয়। ল্যাপ ব্যান্ড সার্জারি, স্কিন অপারেশনের মাধ্যমে অনেকখানি ওজন কমাতে সক্ষম হন ডাক্তাররা। এছাড়াও এতদিনের পুরানো খাওয়ার লাইফস্টাইল সম্পূর্ণ পাল্টে ফেলেন রসেলস। আমরা ‘হাফ টন কিলার’ অনুষ্ঠানে ময়রা রসেলসের সঙ্গে পরিচিত হই। তাঁর এই কঠিন জীবনকাহিনী শুনে হতবাক বিশ্ব। তিনি আজকের ফাস্ট ফুড ও ফেটি দুনিয়ার কাছে প্রাণবন্ত উদাহরণ। এইভাবেও রোগা হওয়া যায়। তাঁর এখন ওজন ‘মাত্র’ ৯০ কেজি।
Prev Post