আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও ন্যাটো বাহিনীর ওপর শুক্রবার দফায় দফায় হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে পঞ্চাশে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও দুই শতাধিক। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। গত এক বছরের মধ্যে দেশটিতে এটি হচ্ছে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর হামলা। এসব হামলার মধ্যে তালেবান দুটি হামলার দায় স্বীকার করেছে।
শুক্রবার ভোরে কাবুলের শাহ শহিদ এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর চত্বরের কাছে শক্তিশালী ট্রাক বোমা বিস্ফোরণের মধ্য দিয়ে হামলা শুরু হয়। আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনির কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, ট্রাক বোমা বিস্ফোরণে অন্তত ১৫ জন নিহত এবং ২৪৮ জন আহত হয়েছে।
পরের হামলাটি চালানো হয় রাজধানীর পুলিশ একাডেমিতে। একজন জঙ্গি পুলিশের পোশাক পড়ে একাডেমিতে প্রবেশ করে এবং আত্মঘাতী বোমা হামলা চালায়। ওই হামলায় কমপক্ষে ২৬ জন নিহত এবং ২৮ জন আহত হয়েছে।
এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘বোমা হামলাকারী পুলিশের পোশাক পরে ছিল। প্রশিক্ষণার্থী পুলিশ সদস্যরা বিরতি থেকে ফেরার কয়েক মুহূর্তের মধ্যে সে নিজেকে উড়িয়ে দেয়।’
সর্বশেষ হামলাটি চালানো হয় কাবুলের আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের কাছে ন্যাটোর সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে।
শনিবার ন্যাটো নেতৃত্বাধীন বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কাবুলের প্রধান বিমানবন্দরের কাছে তাদের ক্যাম্পে শক্তিশালী বোমা হামলায় ন্যাটোর এক সেনা কর্মকর্তা এবং চুক্তিভিত্তিক আট আফগান সেনা নিহত হয়েছে।
তালেবান জঙ্গিরা পুলিশ অ্যাকাডেমি ও ন্যাটো বাহিনীর ঘাঁটিতে হামলার দায় স্বীকার করেছে।