গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে ইহুদিবাদী ইসরাইলের দেয়া সাহসিকতার পদক ফিরিয়ে দিয়েছেন ৯১ বছর বয়সি নেদারল্যান্ডের নাগরিক হেংক জানোলি। নাৎসিদের হাত থেকে এক ইহুদি ছেলের প্রাণ বাঁচানোর জন্য তাকে ‘রাইটাস অ্যামোং দ্যা নেশন্স’ নামের সাহসিকতার পদক দেয়া হয়েছিল।
ইসরাইলি এফ-১৬ জঙ্গি বিমানের হামলায় গাজায় একটি চারতলা ভবন বিধ্বস্ত হয়ে তার ছয় আত্মীয় নিহত হওয়ার প্রতিবাদে হেগের ইসরাইলি রাষ্ট্রদূতের কাছে সোমবার একটি চিঠি লিখে এ পদক ফিরিয়ে দেন হেংক জানোলি।
হেংকের এক ভাতিজি অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার এক ফিলিস্তিনি ভদ্রলোককে বিয়ে করেছিলেন। ইহুদিবাদী ইসরাইলের জঙ্গি বিমানের হামলায় সে ভদ্রলোকের পরিবারের একজন মাতামহী এবং এক শিশুসহ ছয়জন নিহত হয়।
ইসরাইলি রাষ্ট্রদূতের কাছে লেখা চিঠিতে হেংক জানোলি বলেছেন, “জার্মান দখলদারিত্বের দিনগুলোতে একটি ইহুদি ছেলের প্রাণ রক্ষায় আমার মা এবং মায়ের পরিবারের সাহসিকতার স্বীকৃতি হিসেবে আমাকে এ পদক দেয়া হয়েছিল।”
গত ২০ জুলাই গাজার বুরেজি শরণার্থী শিবিরে বোমা হামলায় চারতলা ভবন বিধ্বস্ত হয়ে এর অধিবাসীদের সবাই মর্মান্তিকভাবে নিহত হয়। এ ঘটনা উল্লেখ করে হেংক জানোলি লিখেছেন, “ইহুদি ছেলেকে রক্ষা করার চার পুরুষ পরে আমাদের পরিবারের স্বজনদের গাজায় হত্যা করা হয়েছে, এটি সত্যিই দুঃখজনক এবং এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে ইসরাইল। …এরপরও ইসরাইলের দেয়া পদক রাখলে তা আমার পরিবারের জন্য অসম্মানজনক হবে।”
বয়সের কারণে নিজের হাতে ইসরাইলি পদক ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব হয়নি বলে চিঠি লিখে সেটি ফেরত পাঠিয়েছেন জানোলি।
গত ৮ জুলাই থেকে গাজায় ইহুদিবাদী ইসরাইলের আগ্রাসনে ৪৭০ জন শিশুসহ ১,৯৬২ জন নিরীহ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১০ হাজার একশ’র বেশি মানুষ।