যুক্তরাষ্ট্র, জাপান এবং ভারতের নৌবাহিনীর রণতরী, বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ এবং সাবমেরিন শনিবার গর্জে উঠলো বঙ্গোপসাগরে।
উদীয়মান পরাশক্তি চীনকে সামাল দেয়ার জন্য ভারতের পূর্ব উপকূলে ওই তিনটি দেশ যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করেছে।
এ সামরিক মহড়া চীনের বিরুদ্ধে তিনটি দেশের ক্রমবর্ধমান কৌশলগত বন্ধনের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
এই মহড়া উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্র ইউএসএস থিওডোর রুজভেল্ট বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ, একটি মিসাইল ক্রুজার এবং একটি পরমাণু চালিত সাবমেরিনের উন্নয়ন করেছে।
ইউএসএস থিওডোর রুজভেল্ট যুদ্ধজাহাজের কমান্ডার ক্যাপ্টেন ক্রেগ ক্লাপারটন সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে বলেন, ‘ভারত এবং জাপান উভয়ই যুক্তরাষ্ট্রের চমৎকার অংশীদার। আমাদের অনেক অভিন্ন লক্ষ্য রয়েছে এবং নিশ্চয়ই ভারত ও জাপানের সাথে আমাদের অত্যন্ত শক্তিশালী অর্থনৈতিক, সামরিক এবং রাজনৈতিক সম্পর্ক এবং বন্ধুত্ব রয়েছে।’
তবে এ নৌ মহড়ার ব্যাপারে ভারতকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে চীনের একটি রাষ্ট্রীয় সংবাদপত্র।
‘ইন্দো-চীনের সম্পর্ক ইতিবাচক ধারায় রয়েছে এবং এ সুসম্পর্ক উভয় দেশের জন্যই মঙ্গলজনক। চীন বিরোধী শিবিরে ভারতকে টেনে নেয়ার যে কোনো মতলবের বিরুদ্ধে তার সদাসতর্ক থাকা উচিত,’ বলা হয় গ্লোবাল টাইমসে।
এদিকে প্রায় একই সময় চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে সন্ত্রাসবাদ বিরোধী একটি যৌথ মহড়ায় অংশ নিচ্ছে চীনের গণমুক্তি ফৌজ এবং ভারতীয় সেনাবাহিনী।
ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ মহড়াকে কখনোই সুনজরে দেখে না চীন। তবে দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে চীনের সাথে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রতিবেশী দেশগুলোর ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে এবার চীন বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন।
দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের কৃত্রিম দ্বীপ নির্মাণের পর যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সেনা কর্মকর্তারা একে অপরের বিরুদ্ধে সামরিক শক্তি প্রয়োগের হুমকি দিচ্ছেন।
সূত্র: এপি