চীনা কর্তৃপক্ষ প্রতি বছরের মত এ বছরও নানা অজুহাতে পশ্চিম চীনের শিনজিয়াং অঞ্চলের উইঘর মুসলমানদের জন্য রোজা রাখা নিষিদ্ধ করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। এর আগেও এই অঞ্চলে রোজার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হয়েছিল। কেউ রোজা রাখছে কিনা তা দেখার জন্য গুপ্তচর নিয়োগ করা হতো এবং রোজাদারদের ধরিয়ে দেয়ার জন্য প্রতিবেশীদের পুরস্কার দেয়া হতো। ২০১২ সালেও অফিস-আদালতের কর্মী ও ছাত্রদের জন্য রোজা রাখা নিষিদ্ধ করেছিল চীনা কর্তৃপক্ষ। দৈনিক ওয়ার্ল্ড বুলেটিন জানিয়েছে, ইইনিঙ্গ শহরের একটি হাসপাতালের কর্মীদের জন্য এরিমধ্যে রোজা রাখা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। রোজা রাখলে অফিসে কাজের পরিমাণ কমে যাবে বলে হাসপাতালটির কর্মকর্তারা উল্লেখ করেছেন।
চীনের উইঘর অঞ্চলের বেশিরভাগ জনগণই মুসলমান। গোটা শিনজিয়াং অঞ্চলে মুসলমানের সংখ্যা প্রায় ৯০ লাখ। কিন্তু এই অঞ্চলে সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়া সত্ত্বেও মুসলমানরা নানা ধরনের ধর্মীয় বৈষম্যের শিকার। মিউনিখে অবস্থিত উইঘর কংগ্রেস তাদের সম্প্রদায়ের ওপর বৈষম্যমূলক আইন প্রয়োগ বন্ধ করার জন্য প্রতিবাদ জানিয়ে আসলেও তাতে দৃশ্যত কোনো কাজ হয়নি।