ঢাকা: ভারত সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ১৪টি লড়িতে করে শত কোটি টাকার কনডম বাংলাদেশে এসেছে। এসব কনডকম ভারতে এইডস প্রতিরোধ কর্মসূচির অংশ হিসেবে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে পাঠানোর জন্য একটি সংস্থাকে দায়িত্ব দেয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তবে সেগুলো পশ্চিমবঙ্গে বিতরণ না করে বাংলাদেশে পাচার করে দেয়া হয়েছে বলে দাবি দেশটির শুল্ক বিভাগের।
তবে এক সঙ্গে থাকা ১৫টি লড়ির ১৪টি রোববার ভারতের পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করলেও শেষটি ভারতের শুল্ক বিভাগের কাছে ধরা পড়ে। লড়ি তল্লাশি চালিয়ে দেখা যায়, এতে কাটুন ভর্তি কনডম। বাকিগুলোতেও একই পণ্য ছিলে বলে জানা যায়।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এরা হলেন- পরিতোষ দেবনাথ, স্বপন রায় এবং রফিকুল ইসলাম। তাদের প্রত্যেকের বাড়ি ভারতের উত্তর চব্বিশ পরগনার বসিরহাটে।
আটককৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, ইতোমধ্যে বাংলাদেশে কনডম ভর্তি ১৪টি লড়ি প্রবেশ করানো হয়েছে। এতে প্রায় শতকোটি টাকার কনডম রয়েছে। তবে এগুলো কোন কারণে বাংলাদেশে পাচার করা হচ্ছিল তার সঠিক জবাব মিলেনি আটককৃতদের কাছ থেকে।
ভারতের শুল্ক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনের মতো সেইদিনও তারা তল্লাশি করছিল। কিন্তু গাড়ির শেষ লড়িটিতে সন্দেহবশত ভালোভাবে তল্লাশি চালানো হয়। তারপর তারা ওই লড়িটি থেকে কনডম ভর্তি ৪৭০টি কাটুন জব্দ করে।
এসব এসব উন্নতমানের কনডকম সরকারিভাবে উৎপাদিত। এগুলোর গায়ে ‘বিক্রয়ের জন্য নহে’ কথাটিও লেখা ছিল। যেগুলো রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা নিষিদ্ধপল্লীতে পাঠানো হয়। ধারণা করা হচ্ছে পাচার করা এসব কনডম দিল্লী থেকে এনে লড়িতে ভরা হয়েছে।
এ ব্যাপারে শুল্ক বিভাগের সহকারী কমিশনার বলেন, ‘আমাদের কাছে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। তারপরও আমরা প্যাকেটের গায়ে যে প্রতিষ্ঠানের নাম লেখা ছিল তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম। কিন্তু তারা এ ধরনের প্যাকেটে কনডম উৎপাদন করে না বলে জানিয়েছে। প্যাকেটের গায়ে প্রতিষ্ঠানের নাম দেখেই তদন্ত এগিয়ে চলছে।’ তবে যেসব কনডম পাচার করা হয়েছে তা শত কোটি টাকার মতো বলে জানান তিনি।
দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, দেশে নির্বাচনের জন্য নজরদারি কম থাকার কারণে এমনটা ঘটেছে। তবে এখন নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।