জাতিসংঘের মহাসচিব হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা৷ ২০১৬-তেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট থাকার মেয়াদ শেষ হচ্ছে ওবামার৷ মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে মার্কিন প্রেসিডেন্টের জাতিসংঘের মহাসচিব হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশের খবর ছড়িয়ে পড়তে গোটা বিশ্ব জুড়ে শুরু হয়েছে জল্পনা৷
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার মেয়াদ রয়েছে প্রায় এক বছর। মেয়াদ শেষে তার দৃষ্টি জাতিসংঘের মহাসচিব পদের দিকে। বিষয়টি নিয়ে ওবামা এরই মধ্যে রিপাবলিকান, ডেমোক্র্যাটিক ও ইহুদি কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপও করেছেন। মার্কিন বিভিন্ন মিডিয়ার বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে পাকিস্তানের অনলাইন ডন। কুয়েতের আরবি ম্যাগাজিন আল জারিদায় প্রথম এ খবরটি প্রকাশ হয়।
ইসরাইলি কর্মকর্তারাও পরে নিশ্চিত করেন, দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বিষয়টি সম্পর্কে অবগত। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট যাতে তার এ লক্ষ্য অর্জন করতে না পারেন, তার জন্য নেতানিয়াহু আরব রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে কাজও করে যাচ্ছেন। জেরুজালেম পোস্ট তাদের এক খবরে জানিয়েছে, কুয়েতের ম্যাগাজিনটির পক্ষ থেকে ইসরাইলি কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।
তাতে নিশ্চিত করা হয়েছে, ওবামার এ পরিকল্পনার বিরোধিতা করছেন নেতানিয়াহু। গত বছর ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি বিষয়ে নেতানিয়াহু আপত্তি তুললেও ওবামা তা আমলে নেননি। সে কারণেই নেতানিয়াহু জাতিসংঘের মহাসচিব হওয়ার পথে ওবামার বাধা হয়ে দাঁড়াতে যাচ্ছেন বলে ইসরাইলি মিডিয়াকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে ওয়াশিংটন টাইমস। এ খবরে আরও বলা হয়েছে, জাতিসংঘের মহাসচিব হওয়ার জন্য ওবামাবিরোধী প্রচারণা চালানোর শপথও নিয়েছেন নেতানিয়াহু।
এ প্রসঙ্গে নেতানিয়াহু বলেন, ‘ইসরাইলকে কোণঠাসা করে রাখতে ওবামার আট বছরের প্রচেষ্টাই কি যথেষ্ট নয়? এখন তিনি এমন একটি পদে বসতে চান যেখান থেকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও আমাদের জন্য সমস্যা তৈরি করতে পারবেন।’ নেতানিয়াহুর এমন অবস্থান প্রসঙ্গে মার্কিন মুখপাত্রদের কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে ওবামার ইচ্ছা, জাতিসংঘের বর্তমান মহাসচিব বান কি মুনের মেয়াদ শেষ হলেই তিনি মহাসচিব হতে চান।
দক্ষিণ কোরিয়ার বান কি মুন বর্তমানে দ্বিতীয় ও শেষ মেয়াদে জাতিসংঘের মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করছেন। তার মেয়াদ শেষ হচ্ছে এ বছরের শেষদিনে। এর ২১ দিন পরেই শেষ হবে বারাক ওবামার দ্বিতীয় মেয়াদের দায়িত্ব।