‘জাতিসংঘ মহাসচিবের সহিংস জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ সম্পর্কিত কর্মপরিকল্পনার বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির অনুসরণে বাংলাদেশ জাতিসংঘের সাথে একযোগে কাজ করে যাবে’- এ কথা বলেছেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন ।
জাতিসংঘ সাধারন পরিষদে সদ্য প্রকাশিত কর্মপরিকল্পনাটির বিষয়ে ১২ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত আলোচনায় অংশ নিয়ে রাষ্ট্রদূত মোমেন এসব কথা বলেন।
আন্তর্জাতিক এ ফোরামে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘জাতিসংঘ মহাসচিবের কর্মপরিকল্পনার ৭ দফা প্রস্তাবের সাথে বাংলাদেশের বিদ্যমান সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ ও দমন কর্মসূচির যথেষ্ট সামঞ্জস্য রয়েছে।’ তিনি আরো উল্লেখ করেন, ‘বাংলাদেশের মাটিতে কোন স্থানীয় বা বিদেশী সন্ত্রাসী বা সহিংস জঙ্গিবাদি গোষ্ঠীর স্থান না দিতে বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর।’
‘সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় কেবল আইনশৃঙ্খলা বা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাই যথেষ্ঠ নয় বরং সন্ত্রাসের অন্তর্নিহিত কারণ বা চালিকা শক্তিগুলোকেও প্রতিরোধ করা একান্ত প্রয়োজন’ বলে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত মোমেন বলেন, ‘স্থানীয় কারণসমূহের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পর্যায়ের দীর্ঘমেয়াদী কারণসমূহের সমাধানের বিষয়েও গুরুত্ব আরোপ করতে হবে।’
বাংলাদেশের তৃনমূল পর্যায়ে শিক্ষার বিস্তার, ধর্মীয় মূল্যবোধের প্রসার, নারী ও যুবক্ষমতায়নসহ স্থানীয় জনগণের সম্পৃক্ততায় সহিংস জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে গৃহীত বহুমূখী কর্মসূচির কথাও সবিস্তারে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত মোমেন।
জাতিসংঘ চলতি সাধারণ পরিষদের প্রেসিডেন্ট মগেন্স লিকেটফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনায় প্রায় ৭০টি দেশের স্থায়ী প্রতিনিধি বক্তব্য রাখেন। তারা সহিংস জঙ্গিবাদের আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় জাতিসংঘ সনদ ও নিরাপত্তা পরিষদের সিদ্ধান্তের আলোকে সমন্বিত ও কৌশলগত পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়ে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
আলোচনা পর্বের আগে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুনের কর্মপরিকল্পনার বিষয়ে জাতিসংঘ সাধারন পরিষদে একটি রেজ্যুলেশন সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। আসছে এপ্রিলে জেনেভায় ও জুনে নিউইয়র্কে জাতিসংঘে পুনরায় এ বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।
Prev Post