ঝাড়ুদারের পোস্টে চাকরির জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়লেন বিএ, বিএসসি, এম ও এমবিএ পাস করা ছেলেমেয়েরা। বিজ্ঞাপন দেয়া হয়েছিল ১১৪ জন সাফাইকর্মীর। এর জন্য আবেদন পড়েছে ১৯ হাজার জনের, যাদের বেশিরভাগই উচ্চশিক্ষিত। ভারতের উত্তর প্রদেশের বেকার সমস্যার এমনি একটি অন্ধকারাচ্ছন্ন চিত্র ফুটে উঠেছে এই ঘটনায়। আরমোড়া পুরসভার ওই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ১১৪ জন সাফাই কর্মচারী চাওয়া হয়। বলা হয়, এই পোস্টে আবেদনের জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতার কোনও প্রয়োজন নেই। কারণ রাস্তাঘাট ঝাড়ু দিয়ে পরিষ্কার করা, শহরের নর্দমাগুলি পরিষ্কার করা – এসব কাজ করতে মূলত কায়িক পরিশ্রম হলেই হয়। বেতন উল্লেখ করা হয় ১৭,০০০ টাকা। কিন্তু জমা পড়া আবেদনপত্র যাচাই করতে গিয়েই চোখ কপালে। দেখা যায়, আবেদনকারীদের অধিকাংশই গ্র্যাজুয়েট, পোস্ট গ্র্যাজুয়েট, বি টেক বা এমবিএ পাস।
আরমোড়া নগরপালিকার অফিস সুপারিনটেন্ডেন্ট ফৈজ আলম জানিয়েছেন, ‘আবেদন আপলোডের কাজ এখনও চলছে। এখনও পর্যন্ত পাওয়া ১৯,০০০ আবেদনের মধ্যে থেকে ৫,০০০ আপলোড করা হয়েছে। বেশিরভাগই উচ্চশিক্ষিত।’ মাত্র ওইক’টা খালি পদের জন্য এতো পরিমাণে উচ্চশিক্ষিতের আবেদন জমা পড়ায় চমকে গিয়েছে পুরসভার আধিকারিকরা। যদিও এই কর্মী বাছাই প্রক্রিয়া আপাতত স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। কারণ এই পদগুলি শুধুমাত্র বাল্মীকি সম্প্রদায়ের মানুষদের জন্য সংরক্ষণের দাবি জানিয়েছে সাফাই কর্মীদের সংগঠন। সরকার তাদের দাবি মেনে নিলে যে কয়েক হাজার উচ্চশিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতী এই পদের জন্য আবেদন করেছিলেন, তারা ফের হতাশ হয়ে পড়বেন। দেশের বেকার সমস্যার এই করুণ দিকটির দিকে কোনও মন্ত্রী-আমলাদের চোখ পড়ছে কি?