ঢাকা: টাকার অভাবে পড়ালেখা ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন ভারতের বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী (মানবসম্পদ উন্নয়ন-এইচআরডি) স্মৃতি ইরানি। আর সে কারণেই আটকে যায় তার উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন। তবে টাকার অভাবে যেসব শিশু স্কুল ছেড়েছে তাদের দায়িত্ব নেয়ার কথা ভাবছেন মন্ত্রী। তাদের উচ্চশিক্ষার লক্ষ্যে সরকারি বিশেষ পরিকল্পনার কথাও ঘোষণা করেছেন তিনি।
রোববার মুম্বইয়ে এক অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী স্মৃতি ইরানি এমন ঘোষণা দেন।
মন্ত্রী জানান, কাজের সন্ধানে যারা অল্পবয়সে স্কুল ছেড়ে দিতে বাধ্য হন, তাদের উচ্চশিক্ষার লক্ষ্যে বিশেষ পদক্ষেপ নেবে সরকার। ডিসেম্বর মাস থেকে বাস্তবায়িত হবে এ পরিকল্পনা। অষ্টম শ্রেণীর পর যারা পড়ালেখা ছেড়ে দিয়েছিলেন তারা চাইলে বেশি বয়সেও একের পর এক ক্লাস অতিক্রম করে গবেষণাও করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন স্মৃতি।
স্কুল ছেড়ে দেয়া ছাত্রছাত্রীদের প্রতি সহমর্মিতা জানাতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘পেট চালাতে অনেককেই অল্প বয়সে পড়ালেখা ছাড়তে হয়। টাকার অভাব থাকায় আমিও পড়ালেখা ছেড়ে দিয়েছিলাম।’
এদিকে মন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না স্মৃতি ইরানির। সরকারিভাবে স্মৃতির শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচএসসি পাস। এরপর তিনি স্নাতকে ভর্তি হন। তবে স্নাতকের বিষয় কি ছিল, তা নিজেই গুলিয়ে ফেলেন স্মৃতি। কারণ দু’বার নির্বাচনে দু’রকমের হলফনামা দেন তিনি।
যিনি ন্যূনতম স্নাতক পাস করেননি তিনি উচ্চশিক্ষার গুরুত্ব বুঝতে পারবেন কি না তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন শিক্ষাবিদদের একাংশ, এমনকি বিরোধীরাও। তবে টাকার টানাপড়েনকে দায়ী করে এর স্পষ্ট জবাব দিলেন মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী।