ঢাকা: ধর্ষককে ধরতে ধর্ষিতাকে দিয়ে ফাঁদ পেতেছিল পুলিশ। কিন্তু সেই ফাঁদ বুমেরাং হয়ে গেলো। ফাঁদের টোপ ১৭ বছরের ধর্ষিত কিশোরীটিই দ্বিতীয়বার ধর্ষিত হলো দুর্বৃত্তের হাতে। এবার একেবারে গণ ধর্ষণ। দুই বন্ধু পালাক্রমে ধর্ষণ করেছে কিশোরীকে।
গত বৃহস্পতিবার এ ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মহারাষ্ট্রের জলনা শহরে।
অভিযোগ পাওয়া গেছে, পুলিশের কথা মতো দুষ্কৃতকারীদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে সন্ধ্যায় দ্বিতীয়বার ধর্ষণের শিকার হন ওই কিশোরী। এ ঘটনার জন্য দায়ী করে অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ ইন্সপেক্টরকে বরখাস্ত করেছে রাজ্য পুলিশ দপ্তর। একইসঙ্গে দুই ধর্ষককেও গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রের খবর, গত ৭ জুলাই সন্ধ্যায় ওই কিশোরী তার এক বন্ধুর সঙ্গে বেরিয়েছিল। নয়া রোডের একটি নির্জন জায়গায় তাদের ঘিরে ধরে দুই দুষ্কৃতকারী। কিশোরীকে জঙ্গলে টেনে নিয়ে গিয়ে ছুরি দেখিয়ে ধর্ষণ করে তারা। অভিযুক্তদের দুজনের বয়স ২০-২১ বছর। তারা কিশোরীর মোবাইলও ছিনিয়ে নেয় এবং মোবাইলে ধর্ষণের ভিডিও তুলে রাখে।
বাড়িতে ফিরে কিশোরী তার মাকে ঘটনার কথা জানানোর পর বাড়ির লোকজন পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন।
এরপরই দুষ্কৃতকারীরা কিশোরীর মায়ের মোবাইলে ফোন করে ব্ল্যাকমেইল করতে থাকে। তারা ২০০০ টাকা দাবি করে। বিনিময়ে ধর্ষণের ঘটনার ভিডিও ক্লিপসহ কিশোরীর মোবাইল ফিরিয়ে দেয়ার কথা বলে।
বৃহস্পতিবার দুষ্কৃতকারীরা কিশোরীকে একটি ফ্লাইওভারে এসে মোবাইলটি নিয়ে যেতে বলে।
অভিযুক্তদের ফাঁদে ফেলা যাবে ভেবে পুলিশ কিশোরীকে সেখানে যেতে বলে। পুলিশের কথামতো কিশোরীটি বাইকে চড়ে সেখানে যায়। কিন্তু মাঝপথেই দুষ্কৃতকরীরা তাকে নিকটবর্তী একটি ঝোপে টেনে নিয়ে গিয়ে ফের ধর্ষণ করে।
এরপর কিশোরীটি পুলিশের কাছে ফিরে ঘটনার কথা জানায়। এলাকায় চিরুনি তল্লাশি চালিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারও করে পুলিশ। কিশোরীর মোবাইলটিও উদ্ধার করা হয়। কিন্তু তাতে কোনও আপত্তিকর ভিডিও পাওয়া যায়নি।
ঘটনার গুরুত্ব বুঝে পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল ঘটনাস্থলে এসে অ্যাসিস্ট্যান্ট ইন্সপেক্টরকে তাৎক্ষণিক বরখাস্ত করেন। মহকুমা পুলিশ অফিসারকে তিনি ঘটনার তদন্তেরও নির্দেশ দেন।