[ads1]দেশের প্রেসিডেন্ট বললেন ‘নগ্ন’ হয়ে কাজ করতে। আর সে আদেশ যে দেশটির আমজনতা এভাবে পালন করবেন তা ভাবনাতীত। এই ‘নির্দেশের’ পরদিনই শুরু হয়ে যায় হুলস্থূল কাণ্ড। অফিস-আদালতে অনেকেই হাজির হন আদিম বেশে। আর এসব ছবি ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় শুরু হয়ে গেছে বিতর্ক। ঘটনা ইউরোপের দেশ বেলারুশের। এটি রাশিয়ার পাশে অবস্থিত। এখানকার প্রধান ভাষা বেলারুশিয়ান হলেও এ ভাষায় কথা বলেন মাত্র ১২ শতাংশ লোক। আর প্রায় ৭২ শতাংশ লোক কথা বলেন রাশিয়ান ভাষায়। ঘটনার মূলে এই ভাষা-বিভ্রাটই। বেলারুশিয়ানদের এক জনসভায় এসে নিজেদের প্রযুক্তিগত উন্নতি নিয়ে বলতে গিয়ে দেশটির ৬১ বছর বয়সী রাষ্ট্রপতি আলেকজেন্দ্রা লুকাশেনকো বলেন, ‘আপনি জানেন আপনাকে কী করতে হবে। কী লক্ষ্যে আপনাকে পৌঁছাতে হবে। প্রত্যেক বিষয়ই সহজ। সৃষ্টি, আবিষ্কার, আমরা করে দেখিয়েছি’। এরপরই তিনি বলেন, ‘আমাদের জীবনের একটা বিষয় খুব সহজ: আমাদের উচিত (নগ্ন) হওয়া এবং কাজ করা’।[ads1]
[ads2]রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে রাষ্ট্রপতির ওই মন্তব্যের উদ্দেশ্য ছিল, ‘উন্নতি ও কাজ’। কিন্তু একবার রাষ্ট্রপতির ওই বক্তব্যের পর আর কেউ তার অর্থ খোঁজার চেষ্ট করেননি, বরং রাশিয়ান ভাষায় তার বক্তব্যের অর্থ ‘নগ্ন হওয়া’কেই আদেশ হিসেবে নিয়ে সবাই মেতে উঠেছেন নগ্নতার খেলায়। অফিস-আদালত থেকে শুরু হয়ে এর ধাক্কা লেগেছে সর্বত্র। ফলশ্রুতিতে নগ্ন হয়ে কাজ যেন উৎসবে পরিণত হয়েছে।[ads2]
সূত্র: ডেইলি মেইল