নারীদের জন্য ‘নারী ড্রাইভার’ চালিত অটোরিক্সা

0

girlderiverভারতের মুম্বাইয়ে একা চলাফেরা করা নারীদের আর দুশ্চিন্তা নেই। তাদের জন্য শিগগিরই চালু হচ্ছে আলাদা অটোরিক্সা, যার চালকও থাকবেন নারীরাই! দেশটির মহারাষ্ট্র প্রদেশে প্রথমবারের মতো একসঙ্গে সাড়ে ৫শ’ নারীকে এজন্য অটোরিক্সা চালানোর পারমিট দেয়া হয়েছে।

সম্প্রতি ভারত সরকার নারী অটোরিক্সা চালকদের জন্য পাঁচ শতাংশ সংরক্ষণ ব্যবস্থা চালু করার ধারাবাহিকতায় এই পারমিটগুলো দেয়া হলো।

ভারতের সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, নারী চালকদের বিশেষ এই অটোরিক্সাগুলো গোলাপি বা হালকা কমলা রঙে চিহ্নিত করা হবে।

মুম্বাইয়ে ইতোমধ্যে নারীদের জন্য নারী চালকসহ ট্যাক্সি সেবা চালু আছে। তবে সেগুলো সীমিত সংখ্যক হওয়ায় এবং মূলত বিমানবন্দর ও বিলাসবহুল হোটেল এলাকায় সেবা দেয়ায় বেশিরভাগ নারী যাত্রীর পক্ষে সেগুলো ব্যবহার করার সুযোগ হয় না। তাই নতুন অটো সেবাটি প্রায় সব এলাকার নারীর জন্যই তুলনামূলক বেশি সহজলভ্য ও ব্যয়সাধ্য হবে।

এখনো আরো ১ হাজারের বেশি নারী অটোরিক্সা চালকের পারমিট আবেদনপত্র অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। তাদেরকেও একে একে যাচাই বাছাই করে পারমিট দেয়া হবে।

অল্প কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া বাকি সব নীতিমালাই নারী-পুরুষ উভয় অটোরিক্সা চালকের জন্য সমান। প্রত্যেককে কমপক্ষে ১৫ বছর মহারাষ্ট্রের অধিবাসী হতে হবে এবং মারাঠি বলায় দক্ষ হতে হবে। তবে পারমিট পাওয়ার জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা বাধ্যতামূলক নয়।

সবগুলো নিয়মের শর্তের মধ্যে মারাঠিতে দক্ষতাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এদিকটিতে কোনো রকম ছাড় দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন দেশটির পরিবহনমন্ত্রী দিবাকর রাওতে।

নারীদের বিশেষ অটো সেবা চালুকারী মুম্বাই-ই প্রথম শহর নয়। ২০১২ সালে দিল্লিতে গণধর্ষণের পর রাচিতে এবং হয়রানির অভিযোগ পাওয়ার পর গত বছর ওড়িষার ভূবনেশ্বর ও কাটাকে ‘গোলাপি অটো’ সেবা চালু করা হয়।

২০১৩-তে গুরগাঁওয়ে সেবাটি চালুর পর সিরাপত্তা ব্যবস্থার অভাবে তা বন্ধ করে দেয়া হয়। পরে ২০১৫ সালে ভয় পেলে পুলিশের কাছে তথ্য পাঠানোর জন্য বিশেষ বোতাম, আলো ও শব্দযুক্ত বোতামসহ অটোসেবাটি আবার চালু করা হয়।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More