রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আবারো দু’ দফা ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। ভূমিকম্পে নেপালে ৪২জন ভারতে ১৭জন এবং বাংলাদেশে একজন মারা গেছে। এবার ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল চীন-নেপাল সীমান্তে। রিখটার স্কেলে এ ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭.৪।
মঙ্গলবার দুপুর ১টা ৫ মিনিটে প্রথম দফা ভূমিকম্প অনুভূত হয়। দ্বিতীয় দফা ভূমিকম্প হয় ১ টা ৩৬ মিনিটে।
দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে যুগান্তর প্রতিনিধিরা ভূ-কম্পন অনুভূত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছেন। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নেপালে ৪জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। ভূমিকম্প আতংকে পঞ্চগড় জেলার তেতুঁলিয়ায় একজন মারা যান।
অন্যদিকে নেপাল ও ভারতে এ পর্যন্ত ৫০জন মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।
আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা মবিনুল ইসলাম জানান, দুপুর ১টা ৫ মিনিট ১৮ সেকেন্ডে ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়। উৎপত্তিস্থল নেপাল। সেখনে এর মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ১। ঢাকা থেকে উৎপত্তিস্থলের দূরত্ব ৬১১ কিলোমিটার। তিনি বলেন, ‘এটি একটি মেজর ক্যাটাগরির ভূমিকম্প।’
ভুমিকম্পে আহতের সংখ্যা নেপালে হাজার ছাড়িয়ে গেছে।ভূমিকম্পের সময় লোকজন আতংকিত হয়ে বাইরে বের হয়ে আসে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানায়, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল চীনে। নেপালের কাঠমান্ডু থেকে এর দূরত্ব ৮৩ কিলোমিটার। রিখটার স্কেলে তীব্রতা ছিল ৭.৪।
এর আগে গত ২৭ এপ্রিল সন্ধ্যায় রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আজ ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। সন্ধ্যা ৬টা ৩৯ মিনিটে এ ভূকম্পন অনুভূত হলে রাজধানীর বিভিন্ন ভবন থেকে লোকজন তাড়াহুড়া করে নিচে নেমে যান।
যুক্তরাষ্ট্রের জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস) জানায়, বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টা ৩৯ মিনিট ১৬ সেকেন্ডে রিখটার স্কেল ৪ দশমিক ২ মাত্রার ওই ভূমিকম্প হয়। নেপালের হিতুরা থেকে ২৩ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে ১০ কিলোমিটার গভীরে ছিল এর উৎপত্তস্থল।
ওই দিনই সন্ধ্যা ৬টা ৩৫ মিনিটে রিখটার স্কেল ৫ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্প হয়, যার উৎপত্তিস্থল ছিল ভারতের শিলিগুড়ির মিরিক থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমে পাঁচ কিলোমিটার দূরে ৬৭ দশমিক ১ কিলোমিটার গভীরে।
তার আগের দিনও দুপুর ১টা ৯ মিনিটে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূকম্পন অনুভূত হয়।
এর আগে ২৫ এপ্রিল নেপালের ভূমিকম্প হয়। এর তীব্রতা ছিলো ৭ দশমিক ৯। এতে নেপালের আট হাজার মানুষ মারা যায় এবং আহত হয় ১৭ হাজার।