[ads1]যুদ্ধ তো পুরুষদেরই কাজ। তাই সৈনিক হতে হলে ভেতরের পুরুষটাকে আরো উগ্রভাবে বের করে আনতে হবে। আর এই উদ্দেশ্যেই অস্ট্রেলিয়ার নৌবাহিনীতে বর্বর একটি রীতি প্রচলিত আছে।
ভয়াবহ যৌন অত্যাচার চলে অস্ট্রেলিয়ান নৌবাহিনীর প্রশিক্ষণ শিবিরে। বাহিনীর সাবেক কয়েকজন সদস্য সেই বীভৎস গল্প ফাঁস করে দিয়েছেন। তাদের ভাষ্যমতে, নৌবাহিনীতে নতুন যারা যোগ দেয়, তাদের ওপর সিনিয়ররা যৌন অত্যাচার চালায়। এভাবে তাদের মধ্যকার ‘পুরুষ’কে বের করে আনা হয় বলে দাবি করে তারা।
দ্য অস্ট্রেলিয়ান টেলিগ্রাফ প্রথম এই তথ্য প্রকাশ করে। এরপর ব্রিটিশ অনেক দৈনিক এ ঘটনা নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে।
এ বিষয়ে গঠিত রয়্যাল কমিশনে নিজেদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন সাবেক নৌসেনা। তাদের জানান, সিনিয়রদের নির্দেশে তারা একে অন্যকে ধর্ষণ করতে বাধ্য হতেন। বহুবার রাতের বেলা বিছানা থেকে টেনে হিঁচড়ে তুলে তাদের ওপর যৌন অত্যাচার চালানো হয়েছে। এছাড়া কমোডের মধ্যে মাথা ঢুকিয়ে দিয়ে ফ্লাশ চালিয়ে দেয়ার মতো ঘটনাও প্রায়ই ঘটে। [ads2]
ইলিয়েনোর টিবল নামে ১৫ বছর বয়সী এক ক্যাডেটের সঙ্গে ৩০ বছর বয়সী প্রশিক্ষকের যৌন সম্পর্ক ছিল। এক সময় আপত্তি করায় তাকে বরখাস্ত করার হুমকি দেয়া হয়। ২০০৬ সালে ১৬ বছর বয়সে ওই ক্যাডেট আত্মহত্যা করে।
ভয়াবহ এসব অত্যাচার অনেক সময় অজ্ঞান না হওয়া পর্যন্ত চলতো। এ পর্যন্ত রয়্যাল কমিশনে এরকম ২৪ হাজার অভিযোগ জমা পড়েছে।
এই কমিশন গঠন করা হয়েছে ২০১২ সালে। অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা বাহিনীতে ১১১ জন সদস্য যৌন, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হওয়ার খবর জানাজানি হওয়ার পর এই কমিশন গঠন করা হয়। অভিযোগগুলোর বিষয়ে গত মঙ্গলবার থেকে দুই সপ্তাহব্যাপী শুনানি করেছে কমিশন।
বর্তমানে এই বাহিনীতে প্রশিক্ষণরত আছে প্রায় ২৫ হাজার সদস্য।[ads1]