পাকিস্তান সরকারই হয়তো ওয়াশিংটনকে আল-কায়েদার সাবেক প্রধান ওসামা বিন লাদেনের অবস্থান জানিয়েছিল। এ চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রভাবশালী সেনা গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই’র সাবেক মহা পরিচালক আসাদ দুররানি।
কাতার-ভিত্তিক নিউজ চ্যানেল আল জাযিরাকে দেয়া এক সাাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন। দুররানি বলেন, নিহত হওয়ার আগে আল-কায়েদা প্রধানের অবস্থান না জানার যে দাবি পাকিস্তানের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা করেন তা নিয়ে তার যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।
২০১১ সালের ১ মে পাকিস্তানের সেনা শহর অ্যাবোটাবাদের একটি বাড়িতে মার্কিন কমান্ডো বাহিনী ‘সিল’ বিন লাদেনকে হত্যার দাবি করে। অবশ্য ‘নিহত’ বিন লাদেনের কোনো ছবি মার্কিন বাহিনী প্রকাশ করেনি এবং তার লাশ সাগরে নিক্ষেপ করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়। এ কারণে অ্যাবোটাবাদে মার্কিন বাহিনীর অভিযান এখন পর্যন্ত কোনো ‘প্রমাণিত সত্য’ নয়।
সাবেক আইএসআই প্রধান বলেন, ‘সঠিক সময়ে’ বিন লাদেনের অবস্থান জানিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা ছিল এবং হয়তো সেই সময়টি হয়ে গিয়েছিল। বিশেষ করে এর জন্য প্রয়োজনীয় ‘দেনা-পাওনা’ সম্পন্ন হওয়ার পর এটি করা হয়েছিল। এ ছাড়া, ওসামা বিন লাদেনের মতো ব্যক্তিকে আমেরিকার হাতে তুলে দেয়াও সম্ভব ছিল না।
আসাদ দুররানি মনে করেন, স্থায়ীভাবে আফগান সংকট সমাধানের উপায় নিয়ে ওয়াশিংটনের সঙ্গে ইসলামাবাদের একটি সমঝোতা চুক্তির বিনিময়ে বিন লাদেনের অবস্থান জানিয়েছিল পাকিস্তান।
অ্যাবোটাবাদের যে বাড়িতে মার্কিন বাহিনী হামলা চালিয়ে বিন লাদেনকে হত্যা করে সেটি কি আইএসআই’র নিরাপদ স্থান ছিল? এমন এক প্রশ্নের উত্তরে সাবেক আইএসআই প্রধান বলেন, “আইএসআই যদি সেটি (বিন লাদেনকে নিরাপত্তা দেয়া) করে থাকে তাহলে তারা খুব ভালো কাজ করেছে। আর তারাই যদি লাদেনের অবস্থান আমেরিকাকে জানিয়ে থাকে তাহলেও হয়তো ওই সময়ে এটির প্রয়োজন ছিল।”
জেনারেল আসাদ দুররানি সাক্ষাৎকারে এও জানান, বাস্তবতার সঙ্গে তার এ মন্তব্যের কোনো মিল নেই এবং এগুলো একান্তই তার ব্যক্তিগত অভিমত।
সূত্র : রেডিও তেহরান।