ঢাকাঃ আমরা অনেক দেশেই ঝুলন্ত সেতু দেখেছি। এক একটা সেতু নির্মান হয় এক এক রকম ভাবে। কিন্তু তাই বলে কাচের সেতু? তাও আবার দুটি পাহাড়ের মাঝখানে! অবাক হওয়ার কিছু নেই। এমন একটি সেতুই কিছু দিনের মধ্যে উদ্বোধন করতে যাচ্ছে চীন।
চীনের এক অন্যতম অর্জন এই ঝুলন্ত সেতু। অন্যতম অর্জন বলার কারণ এই সেতুটি আর সব সেতুর মত নয়। এটি একটি কাচের সেতু। সবচেয়ে উঁচুতে দুটি পাহাড়ের মধ্যবর্তী স্থানে নির্মিত হয়েছে বিশ্বের দীর্ঘতম কাচের সেতুটি। জুলাই মাসে হুনান প্রদেশে ঝাংজিয়াজে উদ্যানে পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু এবং দীর্ঘতম কাচের সেতুটি উদ্বোধন করার কথা রয়েছে। ঝাংজিয়াজে চীনের একটি নয়নাভিরাম জাতীয় উদ্যান।
ঝাংজিয়াজে উদ্যানে এক পাহাড়ি খাদের মাঝখানে ঝুলন্ত কাচের সেতুটি সত্যিই এক অভিনব কায়দায় তৈরি হয়েছে। লম্বায় এটি ৪শ ৩০ মিটার আর চওড়ায় ৬ মিটার। দুটি পাহাড়ের মাঝখানে তৈরি এ সেতুটি ঝুলছে ঠিক ৩শ মিটার উঁচুতে।
উদ্বোধনের পর এটিই হবে বিশ্বের দীর্ঘতম সেতু। শুধু তাই নয় মাটি থেকে সবচেয়ে উঁচুতে থাকা এই সেতুটি উচ্চতায়ও সব সেতুকে হার মানাবে।
এই সেতুটির সঙ্গে পৃথিবীর অন্যান্য সেতুর তুলনা করলে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের গ্র্যান্ড ক্যানইয়োন স্কাইলাইন সেতুটি ২১ মিটার দীর্ঘ। আর এই সেতুটি গভীর খাদ থেকে ২১৯ মিটার উঁচুতে অবস্থিত।
এরপর কানাডার গ্লাসিয়ার স্কাইলাইনের কথা বলা যাক। এই সেতুটি আলবার্টায় অবস্থিত। এটি গত বছর উদ্বোধন করা হয়েছিল। এটি পাহাড় থেকে ৩শ মিটার উঁচুতে অবস্থিত। এটি ৩৫ মিটার দীর্ঘ।
চীনের পাহাড়ে তৈরি কাচের পদব্রীজটির ডিজাইন করেছেন ইসরায়েলি স্থপতি হাইম দোটান। তিনি কাচের সেতুটি সম্পর্কে বলেছেন, ফ্যাশন শো এর জন্য এই সেতুটি ব্যবহৃত হবে। তিনি আরো জানান, একই সময়ে এই সেতুটি ৮শ মানুষকে ধারণ করার মত ক্ষমতা রাখে।
এই সেতুতে উঠলে আপনি দেখতে পাবেন আপনার পায়ের নিচে কাচ চকচক করছে। স্বচ্ছ কাচের ওপর দিয়ে হেটে যাওয়া নিশ্চয়ই এক অন্যরকম অনুভূতির জন্ম দেবে!